নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের মাঝেই,চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।দিঘা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সোমবার রূপ নেবে সাইক্লোনে। মঙ্গলবারই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘ইয়াস’। প্রবল হাওয়ায় ২০ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে ঢেউ।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের শুনানি স্থগিত রাখার অনুরোধ করে নারদা মামলায় আজ শীর্ষ আদালতে CBI।
আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) বলেছে যে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চলটি এখন একটি চাপ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে এবং ২৬ শে মে এটি ‘খুব মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়’ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলকে অতিক্রম করবে। সোমবারের মধ্যে নিম্নচাপ অঞ্চলটি ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসে’ -এ পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই,দক্ষিনবঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার উপকূলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বুধবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও।২৫ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘ইয়াসে’ । ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে । ঝাড়গ্রাম, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এরপর,২৬ মে সকালে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে ঘূর্ণিঝড়।ওইদিনই সন্ধের দিকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘ইয়াস’। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১৫৫-১৬৫ কিমি । পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে এটি ।
এদিকে ‘‘ইয়াস’’ মোকাবিলায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে নবান্নের পাশে উপান্ন ভবনে । সেখানে বসেই দক্ষিণ বঙ্গে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নজরদারি করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও তৈরি রাখা হয়েছে এনডিআরএফকে। সেইসঙ্গে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।সাগরেও একইরকমভাবে সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। মাইকে চলছে প্রচার। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
সমুদ্রে যাওয়ার থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে মৎস্যজীবীদের।পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার, পানীয় জল, ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়েছে।এছাড়াও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে উপকূলবর্তী সাইক্লোন সেন্টারগুলি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। পূর্ব রেল ২৪ মে থেকে ২৯ মে এর মধ্যে ২৫ টি ট্রেন বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তের জন্য রেলওয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, পাশাপাশি ২৫ টি বাতিল ট্রেনের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে।
ভারতে ‘ইয়াসে’ ঘূর্ণিঝড়ের আগমনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। এয়ারওয়েজের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় উদ্ধার ও ত্রাণ দল পাঠানো হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিমান এবং নৌ-জাহাজকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার ‘যশ’ ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে কড়া নাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর এক সপ্তাহ আগে পশ্চিম উপকূলে আসা ‘তউকত’ ঘূর্ণিঝড়টি ধ্বংসের কাহিনী ছেড়ে গেছে।