নজরবন্দি ব্যুরো: করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের দাপটে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোকাল ট্রেন। যারফলে দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোটাতে কার্যত হিমসিম খেতে হচ্ছে রেলের হকারদের। তবে জরুরী কালীন ভিত্তিতে বেশকিছু এক্সপ্রেস ও স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হলেও এবার তাতে উঠতেও হকারদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে রেল পুলিশের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই, এবার নতুন নির্দেশিকা জারি করল ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’
সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত শনিবার হাওড়া স্টেশনের সিনিয়র কমান্ডেন্টের তরফ থেকে প্রত্যেকটি পোস্ট ইন্সপেক্টরকে একটি করে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে চলন্ত ট্রেনে যদি কোনও ধরনের হকার ওঠে, তাহলে সেখানকার পোস্ট ইন্সপেক্টরকে এর জন্য দায়ী মনে করা হবে। এবং তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা ও নেওয়া হবে।
আরো জানা গিয়েছে, যে এই কাজের জন্য রেলের তরফ থেকে ৫০ জনের একটি অ্যান্টি হকিং স্কোয়াড ও গঠন করা হয়েছে। যদি কোনো পোস্ট আধিকারিক হকারদের ট্রেনে ওঠা আটকাতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে হকারদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠবে এই অ্যান্টি হকিং স্কোয়াড। তবে রেল পুলিশের এই ফরমানের তীব্র সমালোচনা করে হাওড়ার আইএনটিটিইউসি র সভাপতি সহ অন্যান্য সদস্যরা।
তাদের বক্তব্য, একেই করোনার কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে আধপেটা খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে হকারদের। তার উপর এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না, তাই প্রয়োজন পড়লে আমরা এর প্রতিবাদ জানাবো। বলাবাহুল্য এই কোভিড পরিস্থিতিতে রেলের সিংহভাগ ট্রেন ই রয়েছে বাতিলের খাতায়।
ট্রেনে উঠতে পারবেন না হকাররা ! নয়া পদক্ষেপ আরপিএফের
তারপরেও যেকটি স্টাফ ও এক্সপ্রেস চলছে তা দিয়েই কোনো মতে দিন চলছিল হকারদের। কিন্তু রেলের এই সিদ্ধান্ত তাদের কাছে যে বিরাট বড় দুঃস্বপ্ন তা বলাই চলে।