নজরবন্দি ব্যুরো: দিন দুয়েক আগেই হাওড়ার ড্রোনেজ ক্যানাল রোডের ইছাপুর দক্ষিণপাড়ার একটি বস্তিতে মারাত্মক আগুন লাগে এবং যে ঘটনার জেরে আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় একাধিক বাড়ি। বৃহস্পতিবার সেই বস্তি এলাকা পরিদর্শনে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে গিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে এবং সঙ্গে তৈরি করে দেওয়া হবে পাকা বাড়ি। আগামী ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ দেবার কথাও জানিয়েছেন ফিরহাদ।
আরও পড়ুন: ফের কাশ্মীরে সেনা ট্রাকে জঙ্গি হানা, গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গেল কত জনের?
আজ এলাকা পরিদর্শনের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, “হাওড়া পুরনিগমকে নির্দেশ দিয়েছি ঘরের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০৯টি পরিবারের জন্য শৌচাগারও তৈরি করে দিতে হবে বস্তিতে। কারণ এখানে কোনও শৌচাগার নেই। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য সিমেন্ট-রড-টিন দিয়ে স্থায়ী ঘর করে দেওয়া হবে। এতদিন এই ঘরগুলি বাঁশ, ত্রিপলের ছিল।”
জানা গিয়েছে, যতদিন না স্থায়ী ঘর তৈরি হচ্ছে, ইছাপুরের স্থানীয় স্কুলে অস্থায়ীভাবে থাকবেন বস্তির বাসিন্দারা। খাওয়াদাওয়া-সহ বিভিন্ন খরচ জেলা প্রশাসন বহন করবে। এদিকে এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সকাল থেকেই ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছেন হাওড়া পুরসভার সাফাই কর্মীরা।
আগুনে পুড়ে খাক হাওড়ার বস্তি, ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ও পাকা বাড়ি তৈরির ঘোষণা ফিরহাদের
প্রসঙ্গত, বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় হাওড়ার ডুমুরজলার ইছাপুর ক্যানাল রোড সংলগ্ন বস্তি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা বস্তি। দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই ভস্মীভূত হয়ে যায় সব কিছু। আগুনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বস্তিবাসীরা। এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রায় ১০০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।