কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ করোনায় প্রয়াত জনপ্রিয় চিকিৎসক। শোকের ছায়া উত্তরবঙ্গে। রাজ্য তথা দেশ জুড়ে হুহু করে বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। যত দিন গড়াচ্ছে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে মৃত্যু সংখ্যা। এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ লক্ষ ২৭ হাজার ৭১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৬৮ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩১ লক্ষ ৭ হাজার ৪৫৩ জন। বাংলাতে সুস্থতার হাড় বেড়ে ৮৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলেও মৃত্যু সংখ্যায় লাগাম দেওয়া সম্ভব হয়নি। গতকাল মারা গিয়েছেন ৫৮ জন।
আরও পড়ুনঃ নিরাপদ ও কার্যকর রাশিয়ার ভ্যাকসিন। বিশ্বকে সুখবর দিল দ্য ল্যান্সেট।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অনেক কোভিড যোদ্ধা মৃত্যুবরন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও ক্রমশ তালিকাটা লম্বা হচ্ছে। গত সাতদিনে ৩ জন কোভিড যোদ্ধা প্রয়াত হয়েছেন। দুজন চিকিৎসক এবং একজন ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার। চলতি মাসের ১ তারিখে প্রয়াত হন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর সঞ্জয় সেন। এর আগে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদ জেলার নাওদা তে কর্মরত কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের। তিনি নাওদা ব্লকের ডেভলপমেন্ট অফিসার(BDO) ছিলেন।
করোনায় প্রয়াত জনপ্রিয় চিকিৎসক। মৃত চিকিৎসকের নাম চিন্ময় কর। তার বয়স আনুমানিক পঞ্চাশ বছর। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কের অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন সুপার মৈত্রী করের স্বামী তিনি। বৃহম্পতিবার তিনি অসুস্থ হয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। সেখানে পরীক্ষার পরে তার লালার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
পরে তাকে কাওয়াখালি মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। সেখান থেকে তাকে মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গতকাল রাত নটায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা মেডিক্যাল কলেজ এলাকায়। তিনি খুব জনপ্রিয় চিকিৎসক ছিলেন বলে জানা গেছে। ডাক্তারদের সমস্ত চেষ্টা ব্যার্থ করে গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কোভিড যোদ্ধা।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষনা করেছেন যে রাজ্যের কোন কোভিড যোদ্ধা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে পরিবারের একজন কে চাকরি দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা। এমনকি কোন কোভিড যোদ্ধা করোনা আক্রান্ত হলেই পাবেন ১ লক্ষ টাকা।