নজরবন্দি ব্যুরোঃ চলতি মাসেই বাঁকুড়ায় বড়সড় সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তার আগে বড়সড় বিতর্ক দেখা দিল বাঁকুড়ায়। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশকে অমান্য করে গন্ধেশ্বরী নদী চরে সভাস্থল ঠিক করা হয়েছে। নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি, বিজ্ঞানমঞ্চ। নদীচরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় কীভাবে অনুমতি মিলল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ IPL22: ফাইনালে গুজরাটের ভরসা জাতীয় ও রাজ্য দল থেকে ব্রাত্য সেই ঋদ্ধিই
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই বাঁকুড়া সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩১ মে বাঁকুড়ায় উপস্থিত হওয়ার পর ১ জুন বাঁকুড়ার সতীঘাটে তৃণমূলের বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে সভা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভাস্থলকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গত বছরেই একটি ধর্মীয় সংগঠন দ্বারকেশ্বর নদীর চড়ে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। নদী চরে সভা রুখতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবেশ প্রেমীরা। সেবার সেচ দফতরের তরফেও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরতেই এবার নদীচরেই সভা করতে চলেছে।
গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির সদস্য সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, শাসক দল গায়ের জোরে নদীর বুকে সভা করছে। এর ফলে নদীর বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি নদীর বুকে বড় বড় যন্ত্র নামিয়ে সমতল করার কাজ চলায় নদীর নিজস্ব গতিপথ রুদ্ধ হয়ে বদলে যেতে পারে।
নষ্ট হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র, মমতার সভা নিয়ে বিতর্ক
শনিবার বাঁকুড়ার মাচানতলায় গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে পথসভাও করে। এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। যদিও তৃণমূলের দাবী, ওই জমিটি নদীর অংশ নয়। তাই সভা করলে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হবে না।