নজরবন্দি ব্যুরোঃ নিয়োগে নজিরবিহীন দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে থাকতে পারেন। পাওয়া যেতে পারে বেয়াইনি সম্পত্তির হদিশ সহ একাধিক তথ্য। স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে এবার পৌঁছে গেল সিবিআই এর বিশেষ তদন্তকারী দল। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ শান্তিপ্রসাদের সার্ভে পার্কের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের দল। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘিরে জ্বলছে দেশ।
শান্তিপ্রসাদকে এর আগে নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করেছে সিবিআই। কিন্তু সেই জেরায় মোটেই আশ্বস্ত হয়নি সিবিআই। বরং তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সিবিআই আজন্তে পেরেছে শান্তিপ্রসাদ সিনহার অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তির হিসেব পেতেই এই অভিযানে নেমেছে তাঁরা। শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে তল্লাসীর পাশাপশি তাঁর আত্মীয় পরিজনদের সাথেও কথা বলছেন সিবিআই অফিসাররা।
গ্রুপ সি মামলায় কিছুদিন আগে নতুন এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। এফআইআরে নাম রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্হা, সমরজিত্ আচার্য-সহ ৫ জনের। এঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০(বি)(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪১৭(প্রতারণা), ৪৬৫(জালিয়াতি) এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা। জামিনঅযোগ্য ৪৬৮ নম্বর ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই তদন্তেই শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
শান্তিপ্রসাদ ছাড়াও অলককুমার সরকার, প্রবীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, তাপস পাঁজা ও সুকান্ত আচার্য রয়েছে সিবিআই ট্র্যাকারে। তাঁদের সম্পত্তিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এই ঘটনা নিশ্চিতভাবেই রক্তচাপ বাড়াবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আসলে সিবিআইএর করা এফআইআরে সরাসরি নাম না থাকলেও যে উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে যামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়েছে সেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শান্তিপ্রসাদের দুয়ারে সিবিআই, অশান্তি বাড়তে চলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
আর সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআরে। অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যের নাম সরাসরি না রাখা হলেও ঘুরিয়ে বড় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যে কারনে শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে তল্লাসি চালানোয় অশান্তি বাড়ার সম্বাবনা রয়েছে পার্থ বাবুর তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই।