নজরবন্দি ব্যুরো: বাংলাজুড়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কখনও আবাস যোজনায়, কখনও আবার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আত্মসাতের অভিযোগ! দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টুইট করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রের পক্ষে থেকে রাজ্যের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে বিশেষ দল পাঠানো হয় বাংলায়।
আরও পড়ুন: Arjun Singh: এত গরমের কারণেই বোমা ফাটছে! যুক্তি তৃণমূল সাংসদ অর্জুনের
এদিকে, এর আগে বহুবার ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকার দাবিতে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও কোনও সুফল মেলেনি। তারপরেই ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার ইস্যুতে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের করেছিল খেত মজদুর কমিটি। তাঁদের দাবি ছিল, অবিলম্বে যাতে প্রকল্পের টাকা চালু করা হয়। তারপরেই এবার এই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ এবার কেন্দ্রের থেকে রিপোর্ট তলব করলেন। কেন পশ্চিমবঙ্গে একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা হয়েছে? এই সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। জুলাই মাসে এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রের থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের। যার জেরে বারংবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, “বাংলা ১০০ দিনের কাজে পরপর পাঁচবার প্রথম হওয়ার পরেও সব টাকা বন্ধ। কেন্দ্র সরকার মানুষকে কাজ করিয়ে নিয়ে তাদের ৭ হাজার কোটি টাকা দেয়নি। টাকা আটকে রেখে নির্বাচনের সময় এসে বড় বড় কথা বলেন তাঁরা। ১০০ দিনের প্রকল্পেই নয়, গ্রামের সড়ক যোজনায় চারবার প্রথম হওয়ার পর টাকা বন্ধ। বাংলা আবাস যোজনায় অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পরেও টাকা দেয়নি কেন্দ্র।”