নজরবন্দি ব্যুরো: নেপথ্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড! ভোটের আগে তৃণমূল সরকার রাজ্য জুড়ে প্রচার করছে এবার বাংলা “ঘরের মেয়েকেই চায়”। তা নিয়ে কটাক্ষ কম করেনি বিরোধী পক্ষ। কিন্তু এবার বিজেপির কর্মীই বলছেন ২১এর বাংলায় প্রত্যাবর্তন চান। এবার বাংলায় তিনিও “দিদিকেই” চান। আর এর নেপথ্য উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার প্রচেষ্টা। নির্বাচনের বেশ কয়েকমাস আগেই ঘরের মেয়ে মমতা শুরু করেছিলেন এক গুচ্ছ প্রকল্প।
আরও পড়ুনঃ তারকা থেকে হেভিওয়েট, আজ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় থাকছে একাধিক চমক।
যার মধ্যে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে “স্বাস্থ্য সাথী”। তাতে পরিবার পিছু সাধারণ মানুষ নিজদের চিকিৎসা করাতে পাবেন সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পের সূচনার পর কটাক্ষ থেকে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল রাজ্যে। সাধারণ মানুষও অভিযোগ করেছিলেন অনেক বেসরকারি হাসপাতাল গ্রহণ করছে না ওই কার্ড। তাতেও তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। তড়িঘড়ি বৈঠক করেছিলেন নার্সিংহোম গুলির সঙ্গে। এই মুহূর্তে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার জন্য নতুন করে কার্ড বানানো বন্ধ থাকলেও, হারিয়ে গেলে নষ্ট হয়ে গেলে কী হবে তারও নিদান দিয়েছে সরকার।
মাত্র ২৫ টাকায় পাওয়া যাবে ডুপ্লিকেট কার্ড। বিরোধীরা যতই বলুক ভোটব্যাংক বাড়ানোর জন্য এসব করছেন মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার মানুষ কিন্তু বলছেন “দিদি” ভাবছেন তাঁদের কথা। এর আগেও খবরে এসেছিল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের পরিবারও নাকি করিয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। রাজ্যের একাধিক জায়গার অন্য দলের কর্মীরা সুবিধা পেয়েছেন, সুস্থ হয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। এবার ফের সেই ঘটনাই ঘটলো। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কোন্নগরের বিজেপি কর্মী। আর সুস্থ হয়ে তাঁর প্রধান বক্তব্য “আগামী দিনেই দিদিকেই চাই।” কোন্নগরের বাসিন্দা সন্দীপ সিং রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি সমর্থক, পেশায় মোবাইলের ব্যবসা।
নেপথ্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড! দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকার সময়ে পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। তখনই সমস্যার সুরাহা হয়েছে ওই কার্ড দিয়ে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের দৌলতে বেলুড়ের শ্রমজীবী হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং অপারেশন করান তিনি। আর বাড়ি ফিরেই তিনি আস্থা রাখছেন সেই মমতাতেই। কোন্নগরের এই ঘটনায় পূরপ্রশাসক বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায় বলছেন তৃণমূল বিজেপি ভেবে প্রকল্প হয়নি, রাজ্যের সব মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প।
যতবার বিরোধী দল গুলি কটাক্ষ করেছিল ভোটের আগে প্রকল্প চালু করে নিজের দিকে ভোট টানতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী, শাসক দল বারবার বলেছিল এই পরিষেবা কোনো দলের জন্য নয়, রাজ্যের সকল মানুষের স্বার্থেই। আর রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাধিক ঘটনা এবং বিরোধী দলের কর্মীদের চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা কার্যত সিলমোহর দিচ্ছে শাসক দলের ওই বিবৃতির।