নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনার হানায় মৃত্যু আরও এক সরকারি চিকিৎসকের। রাজ্যে ফের মৃত্যু হল এক সরকারি চিকিৎসকের। করোনায ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল চিকিৎসক সুরজিৎ নন্দীর। তিনি থাকতেন হরিদেবপুরে। বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে অর্থোপেডিক সার্জন ছিলেন সুরজিৎবাবু। মৃত্যুকালে সুরজিৎ বাবুর বয়েস হয়েছিল ৫৭ বছর।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যু মিছিলের বলি ৬১ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ছাড়াল ৮৭ শতাংশ।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অর্থোপেডিক সার্জেন সুরজিৎ নন্দী। সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন চিকিৎসক সুরজিৎ নন্দী। তাঁর সহকর্মীদের সূত্রে খবর, অসুস্থ হয়ে হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার একদিন আগে পর্যন্ত হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসায় ফাঁকি দেননি সুরজিৎ নন্দী। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ চিকিৎসক মহল।
করোনার হানায় মৃত্যু আরও এক সরকারি চিকিৎসকের। উল্লেখ্য, ২ দিন আগেই মৃত্যু হয় আরও এক সরকারি চিকিৎসকের। চিকিৎসকের নাম অনুপ কুমার ঘোষ। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের আঝাপুর পঞ্চায়েতের ভেড়িলি গ্রামে। তিনি জামালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিকিৎসক ছিলেন। এলাকা সূত্রে খবর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও পঞ্চায়েত অফিসের চেম্বারে নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন তিনি। করতেন চিকিৎসা।
ডাক্তার অনুপ কুমার ঘোষ জামালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মেডিক্যাল অফিসার (এইচএমও) পদে কর্মরত ছিলেন। জামালপুর ব্লকের বিএমএইচও ডাক্তার আনন্দ মোহন গড়াই জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই অনুপবাবু অসুস্থতা বোধ করছিলেন। কিছু উপসর্গও ছিল, কিন্তু পঞ্চায়েতের অন্যান্য কোন কর্মীকে সেকথা জানান নি।
এলাকাবাসীরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁরা জানিয়েছেন অনুপবাবু কোভিডের প্রথম দিক থেকেই এলাকায় ঘুরে ঘুতে প্রচার করতেন কিভাবে ঠেকাতে হবে এই মারন ভাইরাস কে, কিভাবে অবলম্বন করতে হবে সতর্কতা। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতেও একজন রোগীকে ফিরিয়ে দেননি তিনি। অবশেষে নিজেই করোনা আক্রান্ত হলেন এবং মারা গেলেন।