নজরবন্দি ব্যুরোঃ ৩৮ টা বছর মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন। এখন সুর বদল করে বলছেন আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায়! তৃণমূলের দীর্ঘ সময়ের বিধায়কের মুখে এহেন কথা নিয়ে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই মানভঞ্জনে নেমেছেন দলীয় নেতারা। কিন্তু ফেসবুক পোস্টের পর ‘বেপাত্তা’ বিধায়ক।
আরও পড়ুনঃ চিনা প্রেসিডেন্ট কি গৃহবন্দি? সেনা অভ্যুত্থান চিনে! জল্পনা তুঙ্গে
সূত্রের খবর, অভিমানী সমীরের পোস্ট দেখেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরুণাভ সেন। তাঁর কথায়, সমীর পাঁজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কাজে লড়াই করছেন তিনি। দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ঘটনার শুরু উদয়নারায়নপুরের বিধায়কের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। সেখানে তিনি লিখেছেন, হ্যাঁ আমার এই মহান নেত্রী টা আছে বলেই, আমি আজও তৃণমূল দল ছেড়ে যাইনি। কারণ কত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে, নানান ইতিহাস এর সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ৩৮ টা বছর মহান নেত্রীর সঙ্গে একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করতে করতে, এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, আজ অবধি মিথ্যা নাটক করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে ভালো সেজে, একটা মেকি লিডার হতে চাইনা আমি। নাহলে কবেই টা টা বাই বাই করে দল ছেড়ে চলে যেতাম আমি। আমার মতো অবিভক্ত যুব কংগ্রেসের আমল থেকে যারা আছে , তারা আদৌ কোনও গুরুত্ব পাচ্ছে কি বর্তমানে…..?? তাই আর কি, আমার যাবার সময় হল, দাও বিদায়!
ফেসবুক পোস্টের পর ‘বেপাত্তা’, সমীর তো এখনও ক্ষুব্ধ
সমীরের দুর্দিনে একই সুর মিলিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। সমীরের মন্তব্যকে সমর্থন করে হাওড়া মধ্য বিধানসভার বিধায়ক বলেন, সমীর দলের অনেক পুরনো কর্মী। দলের কারাপ সময়ে সঙ্গে ছিলেন তিনি। এখন দলের সঙ্গে কোনও একটা জায়গায় দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সমীরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।