নজরবন্দি ব্যুরোঃ শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারির দাবিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য। শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে যে রক্ষাকবচ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পরামর্শ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য। কিন্তু শীর্ষ আদালতে সেই আবেদন গৃহিত হল না। তাই সুপ্রিম স্বস্তিতে শুভেন্দু।
উল্লেখ্য, এর আগে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, আদালতের অনুমতি ছাড়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে না। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত এফআইআর তুলে নেওয়ার নির্দেশ জানানো হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট এদিন মামলা শোনেনি। এমনকি রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
গতকাল আসানসোলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে ঘটে যায় বিপত্তি। প্রচণ্ড ভিড়ের জেরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। জখম হন ৭ জন। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনুমতি না থাকার পরেও সভা করেন শুভেন্দু। তাই তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
এই বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগতে পিছপা হননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, একইসঙ্গে গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য পেশ করেন। তাঁর কথায়, এক সময় পুলিশ বাবা বলে গালাগালি করেন। কাল ভোল বদলে ফেলেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বেপরোয়াভাবে পুলিশকে আক্রমণ করছেন। পুলিশকে না মেনে আইনশৃঙ্খলা পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে নিয়েছেন। এর জন্য দায়ি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সুপ্রিম স্বস্তিতে শুভেন্দু, এখনই এফআইআর দায়ের
এরপরেই তিনি বলেন, একমাত্র শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায় আমি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে যাবো। কীসের জন্য কোন কারনে? বারবার আদালত কেন শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকচ দিচ্ছে? প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের। কেন আদালত বলছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে গেলে কোর্টের অনুমোদন লাগবে। আইপিএসদের ভয় দেখাচ্ছে শুভেন্দু। আপনি তাঁকে প্রোটেকশন দিচ্ছেন। কালকের ঘটনার দায়িত্ব বিচারপতি মান্থাকেও নিতে হবে।