একদিকে যখন রাজ্যে ষষ্ঠ দফায় চলছে ভোটগ্রহণ তখন আবার বসিরহাটের মিনাখাঁয় নির্বাচনী প্রচার সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে মিনাখাঁর সার্কাস ময়দানে সভা করলেন তিনি। আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় বসিরহাটে ভোটগ্রহণ।
আরও পড়ুন: ডেবরায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ, ডিউটি থেকে সরাল কমিশন
এদিনের সভা থেকে মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, আজকের সভায় আসেননি ঊষারানি। আর তা জানতে পেরেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সঙ্গে বিজেপি-এর গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলেন মমতা এবং সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন।
![মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত মিনাখাঁর TMC বিধায়ক, মমতার রোষের মুখে ঊষারানি মণ্ডল মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত মিনাখাঁর TMC বিধায়ক, মমতার রোষের মুখে ঊষারানি মণ্ডল](https://i0.wp.com/najarbandi.in/wp-content/uploads/2024/05/mamata-aram-8.jpg?resize=445%2C283&ssl=1)
মমতা সাফ বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিধায়ক থাকবেন আর মিটিংয়ে আসবেন না এটা চলবে না। যতক্ষণ ক্ষমা চেয়ে পায়ে না ধরবে, ততক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলকে আমরা মানি না। ওঁর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো লোক চাই না। আপনি স্বামীকে নিয়ে দলটাকে বেচে দেবেন? এটা মানব না। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে যারা চলে তাঁদের সঙ্গে আমি সম্পর্ক রাখি না।’’
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত মিনাখাঁর TMC বিধায়ক, মমতার রোষের মুখে ঊষারানি মণ্ডল
মমতার এই বক্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেছে বিজেপি। তাঁদের বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “ঊষারাণী মণ্ডল একজন তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতিনিধি। এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত তপশিলি মানুষদের অপমান করলেন। পায়ে ধরতে হবে? নিজের দলের নেত্রীকে বলছেন! তাহলেই ভাবুন। আমি এর নিন্দা জানাই।”