নজরবন্দি ব্যুরোঃ সোমবার এসএসকেএমের চিকিৎসকরা অনুব্রতকে পরীক্ষা করে জানিয়েছিলেন, তাঁর কিছু ক্রনিক সমস্যা থাকলেও হাসপাতালে ভরতির কোনও প্রয়োজন নেই। ফলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই মঙ্গলবার চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী ও একজন নার্স যান অনুব্রতর বাড়ি। তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রতর গ্রেফতারে ঢাক বাজিয়ে রাস্তায় নেমে গুড়-বাতাসা বিতরণ করল বিজেপি।
আপাতত বিশ্রামে থাকা দরকার তাঁর। ১৪ দিন বেডরেস্টও লিখে দেন। দুই হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের আলাদা পর্যবেক্ষণে স্বাভাবিকভাবেই নানারকম প্রশ্ন ওঠে। আর এর পরেই ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারী বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। তিনি জানান, বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি গিয়ে চিকিৎসার নিদের্শ দিয়েছিলেন।
এমনকী হাসপাতালের প্যাডও দেওয়া হয়নি। সাদা কাগজেই যাবতীয় পরামর্শ লিখে দিয়ে আসেন চিকিৎসক। ডাঃ অধিকারী সাফ জানান, অনুব্রত মণ্ডলই তাঁকে বলেছিলেন বেড রেস্ট লিখতে। যেহেতু বোলপুরেই থাকেন, তাই অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ অমান্য করার সাহস তাঁর হয়নি। এর পরেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বোলপুরের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর কাছে জানতে চান এই নির্দেশ কান দেওয়া হয়েছিল।
এই সবের মধ্যেই আজ সকালে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। আর অপর দিকে থেকেই ৭ দিনের ছুটিতে গেলেন ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী। প্রশ্ন, তবে কি মুখ খোলায় শাস্তির কোপে পড়তে হল চিকিৎসককে? চন্দ্রনাথ অধিকারী জানিয়েছেন,
অনুব্রতর গ্রেফতারের দিনই ৭ দিনের ছুটিতে গেলেন ডাক্তার চন্দ্রনাথ অধিকারী! জানালেন কারণ
গত দুদিন ধরে যা চলছে, তাতে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। প্রাণের ঝুঁকিও রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সেই কারণেই হাসপাতালে ৭ দিনের ছুটির আবেদন জানান তিনি। ৭ দিনের জন্য বোলপুরের বাইরে যাচ্ছেন তিনি।