নজরবন্দি ব্যুরোঃ হেফাজত শেষে আজ আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে আনা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। আদালত চত্বরে অনুব্রতকে ‘গরু চোর’ স্লোগান দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন শতাধিক উৎসাহী জনতা। সিবিআই এদিন অনুব্রত মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যে আরও কয়েকদিনের হেফাজত দাবি করে। শুনানি শেষে বিচারপতি সিবিআই-এর পক্ষেই রায় দেন। আগামী ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত অর্থাৎ আরও চার দিনের জন্যে অনুব্রত মন্ডলকে সিবিআই হেফাজতে রাখার ঘোষনা করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ অনুব্রতর প্রভাবে সায়গলের কাজের প্রমাণ নেই, রাজ্য সরকারের যোগে হেফাজতে নিতে মরিয়া সিবিআই
এদিন শুনানির সময় সিবিআই এর আইনজীবী বলেন, অনুব্রতের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত এনামূল হকের। এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই বলে জানান অনুব্রতের আইনজীবী। অনুব্রতর আইনজীবী বলেন, ‘‘সহগল যা করেছেন তা অনুব্রতের প্রভাবে, এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই।’’
এরপরে সিবিআইয়ের ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব হয়ে আদালতে অনুব্রতের আইনজীবী বলেন, ‘‘বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানানো হয়েছিল। তখন কোনও জবাব দেয়নি সিবিআই। পরের দিন আবার নোটিস পাঠানো হয়। এতেই সিবিআইয়ের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়েছে। ১৪ দিনের বিশ্রামের কথা মেডিক্যাল রিপোর্ট সহকারে দেওয়া হয়। সিবিআই কী ব্যবহার করেছে সেটা দেখা উচিত। অনুব্রত পালিয়েও যাননি, গা-ঢাকাও দেননি। উনি কখনই সিবিআইকে এড়াননি। একবার উনি সুস্থ ছিলেন, সে সময় নিজেই সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন।’’
শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে বলে দাবি অনুব্রতর আইনজীবীদের, তবুও জামিনের আর্জি খারিজ, ২৪ অগস্ট পর্যন্ত CBI হেফাজতে কেষ্ট
অনুব্রতর আইনজীবীর পালটা সিবিআইএর আইনজীবী বলেন, ‘‘উনি (অনুব্রত) বলছেন, সবসময় সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু অভিযুক্ত জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে সব রকম চেষ্টা চালিয়েছেন’’, আদালতে বললেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অনুব্রতের কন্যাও অসহযোগিতা করছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। এরপরেই কেষ্ট মন্ডলের আরও ৪ দিনের হেফাজত দাবি করে সিবিআই। পরে সবলিছু খতিয়ে দেখে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন সিবিআইএর বিষের আদালতের বিচারপতি।