নজরবন্দি ব্যুরোঃ পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মন্ত্রীসভার বৈঠকে ১৬০০ শূন্যপদে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। একমাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কমিশন। শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা দুটি বিভাগে ১৬০০ টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হল।
সুপার নিউমেরিক্যালভাবে শূন্যপদে নিয়োগ করতে চেয়ে রাজ্যের মন্ত্রীসভার বৈঠকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর থেকে প্রথম পর্যায়ে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীদের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই সময়েই স্কুল বাছাই এবং নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরি প্রার্থীরা কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে কল লেটার ডাউনলোড করতে পারবেন।
এই মুহুর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলাতেই প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিকরা জেল হেফাজতে রয়েছেন। এরই মধ্যে নিয়োগের দাবিতে চাকরি প্রার্থীরা বারবার সরব হয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বিভাগে নিয়োগ শুরু করা হলেও আগামী দিনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়? সেটাই দেখার।
১৬০০ টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু, নিয়োগ নিয়ে কাটল জট!
কারণ, তিন দফায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ৬০০ দিন ধরে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগ দুর্নীতির কথা বারবার বলা হলেও এখন আদালত প্রমাণিত হতেই কিছুটা অক্সিজেন ফিরে পাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। আগামী দিনে কয়েক হাজার জন কর্মরত শিক্ষক চাকরি হারাতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।