নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি মামলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধী দল গুলি। পর পর একাধিক মামলা হাইকোর্টের অধীনে তদন্তভার পড়েছে তদন্তকারীদের ওপর। আর এই দুর্নীতি মামলা গুলির মধ্যে অন্যতম হল কল্যাণী এইমসের নিয়োগ দুর্নীতি। আর এই মামলায় প্রথম থেকেই তদন্ত নেমেছিল CID।
আরও পড়ুন: সশরীরে আদালতে হাজির রাজ্য নির্বাচন কমিশনার! “হলফনামায় সই করতে এসেছি”, জানালেন রাজীব
তবে একাধিকবার বাধা আসার পরও তদন্তে সেই রকম ভাবে গতি ফেরেনি। তবে এবার ফের একবার এইমসের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষে তলব করা করল সিআইডি। জানা গিয়েছে, কল্যাণী এইমসে পুত্র-বধূকে নিয়োগ কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেই সিআইডি নজরে আসেন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ। এর আগেও বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও তাঁর মেয়েকে তলব করলেও এইবার দুর্নীতির মামলায় বঙ্কিমকে তলব করল রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে এই মুহূর্তে ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হাজিরা দিতে পারছেন না বলেই সিআইডিকে জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি ভোট মিটলে তারপর হাজিরা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সিআইডি সূত্রে খবর, কল্যাণী এইমসে নিয়োগে দুর্নীতির কথা এর আগে তুলে ধরেছিলেন মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতো কল্যাণী এইমসে প্রভাব খাটিয়ে বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে। এরপর বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে বিজেপির দুই সাংসদ, দুই বিধায়ক-সহ ৮ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। এরপরেই তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে জেরে এফআইআরে নাম উঠে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ-সহ ৮ জনের।
প্রসঙ্গত, কল্যাণী এইমসের দুর্নীতির মামলায় তৎপর সিআইডি। এই মামলায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে বিজেপির একাংশের নেতা-মন্ত্রীদের। এর আগে দুর্নীতির মামলায় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানাকে তলব করে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল যে, বিজেপি নেতা তার প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়ে মৈত্রেয়ীকে কল্যাণী এইমসে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলার তদন্তের জন্য বাঁকুড়ায় নীলাদ্রি শেখরের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন CID-র আধিকারিকরা।