নজরবন্দি ব্যুরো: বেসরকারি হাসপাতালে আকাশছোঁয়া খরচের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাওয়া সাধারণ মানুষের রাজ্য সরকার কিছুদিন আগেই নিয়ে এসেছে মুস্কিল আসান প্রকল্প যার নাম ‘স্বাস্থ্যসাথী’। যার সাহায্যে সরকারি ও সরকার নির্দেশিত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। তবে সাধারণ মানুষের মনে এই প্রকল্প নিয়ে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সেইসব দূর করতে এবার রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্য এবার খোলা চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ ‘ফেরাতে হাল’ ব্রিগেডে কংগ্রেসকে নিয়ে ‘ফিরছে লাল’।
তিনি এদিন চিঠিতে লেখেন চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আপনাকে একজন উপভােক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হিসেবে করতে পেরে ও প্রকল্পের অধীন পরিষেবা আপনাকে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি, আগামীদিনেও এই প্রকল্পের যাবতীয় সুযােগ-সুবিধা প্রদান করে আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সামগ্রিক মানােন্নয়নে আরও বেশি করে সামিল হওয়ার সুযােগ পাব।’
বিধানসভা ভোটের আগে এ যেনো দিদির মাস্টারস্ট্রোক. রাজ্যের সব পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার রাজ্যের চেষ্টার বিপুল সারা পাওয়া গেছে রাজ্য জুড়ে। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী নিজেও লাইনে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের মত এই কার্ড করেছেন। স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের যে সব নাগরিক অন্য সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন তারা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের বাইরে থাকবেন।
কেউ যদি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও রকম স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা খরচ পেয়ে থাকেন তারাও এই প্রকল্পের বাইরে থাকবেন। তবে কর্পোরেট স্বাস্থ্যবিমা থাকলে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনও আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই। অন্যদিকে যেকোনও বয়স, পেশা ও আয়ের মানুষই এই পরিষেবা পেতে পারেন। এছাড়া সাধারণ মানুষের মনে পরিষেবা নিয়ে তৈরি সন্দেহ নিয়ে তারা বলেছে সরকার নির্ধারিত বেসরকারি হাসপাতালে এই কার্ড নিয়ে কোনও অসুস্থ ব্যক্তি ভরতি হলে অবশ্যই পরিষেবা মিলবে।
সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল যদি কার্ডের বিনিময়ে পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে তবে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কার্ড জমা পড়ার একমাসের মধ্যে হাসপাতাল চিকিৎসার খরচ পেয়ে যাবে।