নজরবন্দি ব্যুরোঃ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেন। বুদ্ধদেব জানান, “যদি আমাকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দিয়ে থাকে তাহলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি।” তবে তাঁর পদ্ম পুরস্কার প্রত্যাখ্যানকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। আজ সেই বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুনঃ কবে থেকে খুলছে স্কুল? জবাবে আদালতের কাছে এক সপ্তাহের সময় চাইল রাজ্য
একদিনে যখন বাম সমর্থকরা নিজেদের ত্যাগের প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল তখন অন্যদিকে বিজেপি বলছে, এই সম্মান কোন দলের সম্মান নয়। রাষ্ট্রর দেওয়া সম্মান। তাহলে কেন তা প্রত্যাখ্যান? বিজেপির দাবি, পদ্মভূষণ পুরস্কার নিয়েও রাজনীতি করা হচ্ছে! পাল্টা বামেরা বলছে, আসলে সম্মান দেওয়ার নামে বুদ্ধবাবুকে অপমান করাই ছিল কেন্দ্রের লক্ষ।
বুদ্ধবাবুর পদ্ম সম্মান প্রত্যাখ্যান নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “যার নামের সঙ্গে দেশের অন্যতম প্রাচীন সৌধ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো অভিযোগ রয়েছে, সেই কল্যাণ সিং-কে পদ্মবিভূষণ দেওয়া হচ্ছে৷ আর বুদ্ধবাবুর মতো নিষ্কলুষ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মভূষণ।” অর্থাৎ প্রকারান্তরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কে অসম্মান করাই লক্ষ্য।
তাঁর পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যানে বিতর্ক দেশজুড়ে, আজ জবাব দিলেন বুদ্ধদেব।
বুদ্ধবাবু প্রত্যাখ্যান বিবৃতিতে বলেছিলেন, তিনি জানতেন না তাঁর পদ্মসম্মান পাওয়ার কথা, জানলে আগেই প্রত্যাখ্যান করতেন। এই বিবৃতির পাল্টা কেন্দ্র বলেছে বুদ্ধবাবুর স্ত্রীকে তাঁরা ফোন করে বলেছিলেন পদ্মভূষন পাওয়ার কথা। এইসব বিতর্কের মাঝে এদিন মুখ খুলেছেন বুদ্ধবাবু। দলীয় মুখপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বুদ্ধবাবুর বয়ান। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আগে জানানো হয়েছে কি হয়নি সেটা বিষয় নয়। আমাকে আগে জানানো হলেও আমি এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করতাম।’