নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিতর্কের মাঝেই এলো অজন্তার তৃতীয় কিস্তি, তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলাতে উত্তর সম্পাদকীয় লিখছেন সিপিএমের মুখপত্র ‘গণশক্তি’র একদা সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা। প্রথম কিস্তি বেরনোর পরেই শুরু হয়েছিল জল্পনা, হঠাত তৃণমূলের মুখপত্রে অজন্তা কেন…
আরও পড়ুনঃ জাগো বাংলায় আজ দ্বিতীয় কিস্তি অজন্তার, অস্বস্তি বাড়ছে আলিমুদ্দিনে
গতকাল বেরিয়েছে দ্বিতীয় কিস্তি। তার পর থেকেই একপ্রকার জোর হয়েছে গুঞ্জন আর বিতর্ক। দিনে দিনে অস্বস্ত্বি বাড়ছে আলিমুদ্দিনে। ছাত্রাবস্থা থেকে বাম মনস্ক এবং সমর্থক অজন্তার লেখনীকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়।
জাগোবাংলায় অজন্তার লেখনীর বিষয় বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি। সম্পাদকীয় টির স্ট্র্যাপে লেখা বাসন্তীদেবী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতির কিস্তিতে এসেছিল প্রিতীলতা থেকে কল্পনা দত্তের কথা। গতকালের পর অনেকেই ভেবেছিলেন আজকের কিস্তিতে আসবে মমতার প্রসঙ্গ। আজ বহু বিতর্কের মাঝেই এলো অজন্তার তৃতীয় কিস্তি, তবে এখনো আসেনি বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধেয়র কথা।
বাম অনীলের মেয়ে লিখছেন তৃণমূলের মুখপত্রে! বিতর্কের মাঝেই এলো অজন্তার তৃতীয় কিস্তি।
গতকালের কিস্তিতে স্বাধীনতার সময়ের নারীশক্তির কথা বলার পর আজকের কিস্তিতে প্রকাশ পেয়েছে স্বাধীনতা উত্তর সময়ে বাংলার রাজনীতিতে বামপন্থী এবং অবাম-পন্থী উভয় ধারার রাজনীতিতে মহিলাদের অবস্থান এবং অবদানের কথা। ফুটে উঠেছে মণিকুন্তলা সেন, কনক মুখোপাধ্যায়, রেণু চক্রবর্তী। এসেছে ইলা মিত্র, শ্রমিক আন্দোলনে সুধা রায়ের অবদানের প্রসঙ্গ।
প্রবীনা কংগ্রেস নেত্রী ফুলরেণু গুহ বাংলার রাজনীতি থেকে ইন্দিরার মন্ত্রিসভা কিভাবে সামলেছিলেন সব দায়িত্ব অজন্তা লিখেছেন সেসব কথাও। তবে আজকের গোটা কিস্তিতে প্রথম পাঠেই অনেকেই খুঁজেছেন মমতার কথা। না পেয়ে ধৈর্য্য রাখছেন পরবর্তী কিস্তির দিকে। সকলেই মুখিয়ে আছেন বাম নেতা অনিল কন্যার কলমে তৃণমূল নেত্রী মমতার কথা পড়ার জন্য।
এদিএক তৃণমূলের মুখপত্রে লেখার জন্য প্রথম থেকেই অজন্তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা। শুরু হয়েছে বিতর্ক। সিপিএম সূত্রের খবর জবাবদিহি চাওয়া হবে অনিল-কন্যার কাছে। ঘরের মেয়ের অন্য দলের মুখপত্রের হয়ে কলম ধরার বিষয়ে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিতর্কের সমাধান করার দাওিত্ব যাচ্ছে মেয়ের কাঁধেই। আর সেই কারণেই অধ্যাপক সিপিএমের অধ্যাপিকা এবং ওয়েবকুটার সদস্যা অজন্তার কাছে উত্তর চাইবে সিপিএমএর অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুটা গতকাল থেকেই নজর রাখা হচ্ছে তাঁর সব কিস্তির প্রতিটা লাইনের ওপর।