নজরবন্দি ব্যুরোঃ অর্থসংকটে নিয়োগ বন্ধ। কিন্তু ভোট মুখি উন্নয়ন প্রচারে বিরাট বিজ্ঞাপন বাজেট রাজ্যের। ভোটের দামাদা বাজতেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিল রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে একদিনে যখন অর্থ দফতর যে কোন নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। ইতিমধ্যেই অনেক অস্থায়ী কর্মীর বেতন বন্ধ হয়েছে তিন-চার মাস। তখনই বিধানসভা নির্বাচন প্রস্তুতিতে ঢালাও খরতের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে মমতা সরকার। একদিকে যখন বলা হচ্ছে চরম অর্থ সংকট তখন এহেন খরচ করার বহল দেখে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যসরকারের সত্যিই অর্থ সংকট তো!
আরও পড়ুনঃ একদিনে আক্রান্ত ২৮৮ জন পুলিশ কর্মী। নজিরবিহীন সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে।
সরকারি টাকায় বিজ্ঞাপনের জন্য কোটি কোটি টাকায় মমতা সরকারের উন্নয়নের বিজ্ঞাপন করার জন্যে ঠিকাদার সংস্থা গুলির সাথে চুক্তি হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট থেকে ঠিকাদার সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে এক বছরের জন্য। সরকারি টাকায় বিজ্ঞাপনের জন্য কোটি কোটি টাকার এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দফতরের জন্যে। পাহাড় থেকে জঙ্গলমহল সর্বত্র এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। সরকারি উন্নয়নের প্রচারের জন্যে ই রিকসা, টোটো এবং অটো ভাড়া করা হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী হোর্ডিং।
বিভিন্ন জেলায় অস্থায়ী হোর্ডিং এর বিভিন্ন রেট ধার্য করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে প্রতি বর্গ ফুট হোর্ডিংয়ের জন্য সরকার খরচ করবে ২২টাকা ৪২ পয়সা। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে এই খরচ হবে ২১ টাকা ২৪ পয়সা। বীরভূমের ক্ষেত্রে খরচ হবে প্রতি বর্গ ফুটের জন্য খরচ হবে ২৮ টাকা ৩২ পয়সা। মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিঙ, কালিম্পঙ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলীর মতো জেলাগুলির ক্ষেত্রে এ মাসেই সম্পন্ন হবে বরাত দেওয়ার কাজ।
পাশাপাশি, ই রিকসা, টোটো বা অটোতে চলবে মাইকিং। দিনে ৫০ থেকে ৭০ অন্তত কিমি চলবে এক একটি ই রিকসা, টোটো বা অটো এমনই শর্ত রাখছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। উল্লেখ্য, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সচিবরা কোনও অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে, মেলায়, উৎসবে সর্বোচ্চ ৩০লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করার অধিকারী ছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের জুলাই মাসে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তা বাড়িয়ে ২ কোটি টাকা করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে এত অর্থসংকটের মধ্যে এভাবে ভোট মুখি প্রচার তাও জনগনের করের টাকা ব্যাবহার করে কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার।