নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভোট মিটলেই দেশ জুড়ে লকডাউন? প্রচারসভায় অভিষেকের দাবি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। দেশ জুড়ে করোনার সেকেন্ড ওয়েভের দাপাদাপি। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ফের কি চালু হতে চলেছে সম্পূর্ণ লকডাউন? ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্য হেঁটেছে মিনি লকডাউনের পথে।
আরও পড়ুনঃ ভ্যাকসিনের আকালের মাঝেই দেশ জুড়ে নষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ ডোজ।
এমন অবস্থায় পূর্ণ লকডাউনের পথে যাওয়া নিয়ে আজ বিতর্ক উস্কে দিলেন তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন নির্বাচন মিটলেই দেশ জুড়ে পূর্ণ লকডাউনের পথে যেতে চলেছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে বিজেপিকে একের পর এক তীরে বিঁধতেও ছাড়লেন না তৃণমূলের যুবনেতা।আজ নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদের লালগোলায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারসভা থেকে বলেন “ভোটের পরেই দেশ জুড়ে হবে লকডাউন। ভোটের অপেক্ষায় বসে আছে কেন্দ্র। প্রথমে যেনতেনপ্রকারেন বাংলা দখল করবে। তারপরই লকডাউন ঘোষণা করবে ওরা।”
এরপর অমিত শাহের দিকে আক্রমন শানিয়ে তিনি বলেন “উনি ভোটের প্রচারে এসে বারবার বলছেন, রাজ্যে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটছে। সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? আন্তর্জাতিক সীমান্ত সামলান বিএসএফরা। তাঁরাmurshidabad
তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাহলে বেআইনি অনুপ্রবেশ হলে দোষ কার? এই ইস্যুতে তো আপনার ইস্তফা দেওয়া উচিৎ।” অমিতের পদত্যাগের দাবির পরেই তিনি মুর্শিদাবাদে এসে টার্গেট করেন জেলার ভূমিপুত্র তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। সভামঞ্চ থেকে দলীয় প্রার্থী সোমিক হোসেনকে পাশে নিয়ে অভিষেক বলেন “গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা। সরষের তেলের দাম বাড়ছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া। একবারও সংসদে দাঁড়িয়ে এগুলোর প্রতিবাদ করেননি অধীর চৌধুরী। কারণ, কংগ্রেস বিজেপির সবচেয়ে বড় সাগরেদ। কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্তিশালি করা” এরপর বিজেপিকে আক্রমণ শানান অভিষেক।
ভোট মিটলেই দেশ জুড়ে লকডাউন? প্রচারসভায় অভিষেকের দাবি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তাঁর কথায়, “বিজেপি শুধু ভাষণ দেয়। ওরা পরিযায়ী। ভোটের সময় আসে। আর সারা বছর বিপদে-আপদে পাশে থাকে তৃণমূল।” একের পর এক বিজেপি কংগ্রেস সমস্ত দলের বিরুদ্ধে আক্রমন করে প্রচারে ঝড় তুললেন অভিষেক। এখন দেখার নির্বাচনে তৃণমূলের জন্য কঠিন গড় মুর্শিদাবাদে ঘাসফুল ফোটাতে পারেন কিনা তিনি।