নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভোটের দিন সবথেকে অশান্তকর জায়গা কোনগুলি, কুখ্যাত এলাকা কোনগুলি? সেই সমস্ত এলাকাগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। তার ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশনে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে প্রশাসন। তালিকায় প্রধান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত এলাকাগুলিকে যেখানে ২০১০ এবং ২০১৫ সালে সবথেকে বেশী অশান্তি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ KMC Election 2021: জোড়া ফুল নয়, ‘সাসপেণ্ড’ তনীমার প্রতীক জোড়া পাতা
পুলিশ সূত্রে খবর, একেবারে তালিকা ধরে শুরু হয়েছে কাজ। কোন এলাকাগুলি সবচেয়ে স্পর্শকাতর তার খোঁজ শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। সেই অনুযায়ী ধাপে ধাপে তৈরি হবে তালিকা। সেই সমস্ত এলাকায় বেশী নজরদারি রাখা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশী গোলমালের অভিযোগ এসেছিল উত্তর কলকাতা এবং ওয়াটগঞ্জ এলাকা থেকে। অতি স্পর্শকাতরের তালিকায় রয়েছে ওয়াটগঞ্জ, বন্দর সংলগ্ন এলাকা। বাড়তি নজর থাকবে ৭ থেকে ৯ নম্বর বুথে।
তিলজলা, কসবা, যাদবপুর এবং বেহালা সংলগ্ন এলাকায় ঝামেলা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৮, ২৯,৬৮ এবং ৫৯ নম্বর বুথে থাকছে কড়া নজরদারি। ওই বুথগুলিতে বহিরাগতদের উপস্থিতি নজরে আসতে পারে। আলাদা করে নজর রাখা হয়েছে কাশীপুর এলাকায়। ২০১৫ সালে এক পুলিশ কর্তার মৃত্যুর পর এবার বিশেষ নজর রয়েছে গিরিশ পার্ক এলাকায়।
কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনে বুথের সংখ্যা ৪৮৪২ টি। অতিরিক্ত বুথ রয়েছে ৩৮৫ টি। এবারের নির্বাচনে থাকছে ২৩ হাজার পুলিশ বাহিনী। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকছে দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও ৭৮ টি কুইক রেসপন্স টিম। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২৫ শতাংশ বুথে চলবে ভিডিওগ্রাফি অথবা সিসিটিভি। ২৮৬ টি সেক্টরে সশস্ত্র পুলিশ। ৭২টি আরটি মোবাইল। থাকবে ৩৫ টি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। ভোটের দিন কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের সমন্বয়ে নিরাপত্তায় জোর দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে চায় কমিশন, সেটাই প্রধান লক্ষ্য।
শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে চায় কমিশন, কড়া নজরদারি একাধিক এলাকায়
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট। ১৪৪ টি ওয়ার্ডে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে। ২১ ডিসেম্বর ফলপ্রকাশ। শুরু হয়ে গেছে মনোনয়ন পত্র জমা করার প্রক্রিয়া। সব মিলিয়ে ছোট লালবাড়ি দখলের লড়াইতে মাঠে নেমে পড়েছে লাল – সবুজ – গেরুয়া সব শিবিরই। এদিকে পুরভোটের আগে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা চূড়ান্ত করতে সোমবার বৈঠকে বসেছিল নির্বাচন কমিশন। সেখানে ঠিক হয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, পুরভোট সামলাবে পুলিশ।