নজরবন্দি ব্যুরোঃ আদালতের তরফে মিলেছে অনুমতি। কিন্তু কেষ্ট কোথায়? কখন কলকাতা আনা হবে কেষ্টকে? আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে গতকাল থেকে রবিবার অবধি তিনটি চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শেষ অবধি জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অনুব্রতর দায়িত্ব নিতে পারবে না পুলিশ। ইডি চাইলে সেই দায়িত্ব নিতে পারে।
গরু পাচার মামলায় এবার বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র তাই-ই নয়, তৃণমূল নেতার ১ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ দিল দিল বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দিল্লি এবং কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তথ্য লুকিয়ে হয়রানি করেছেন অনুব্রত।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন ইডি চাইলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার আগে যে কোনও হাসপাতালে শারীরিক চিকিৎসার নির্দেশ দেন তিনি। সেই সব রিপোর্ট যাবে দিল্লির আদালতে। পাশাপাশি আকাশপথে কেষ্টকে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
শনিবার আদালতের তরফে নির্দেশ মেলার পরেই তৎপর হয়ে ওঠে ইডি। শনিবার সন্ধ্যেবেলাতেই ইডির তরফে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু ইডির তরফে সদুত্তর না মেলায় রবিবার সকাল থেকে আরও দুটি চিঠি পাঠায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।
কেষ্ট কোথায়? পত্রপাঠে জানতে চাইল ইডি

জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। তারা যে কোনও সময় অনুব্রতকে নিয়ে যাবেন। পরে অবশ্য জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, অনুব্রতের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবে না পুলিশ। চাইলে ইডি সেই দায়িত্ব নিতে পারে। এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, এরপর বিশেষ বাহিনী চেয়ে আসানসোল-দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন জানায় আসানসোল জেল কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ নাকি সাড়া পাননি।