‘বিবেকের মিছিল’-এ অভিষেক থাকলেও দেখা মিলবে না শুভেন্দুর।

নজরবন্দি ব্যুরো: ‘বিবেকের মিছিল’-এ অভিষেক , রাজ্য-রাজনীতি থেকে রেহাই পেলেন না স্বামী বিবেকানন্দও। মঙ্গলবার স্বামীজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিবেকানন্দের সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিবেকানন্দর মূর্তি পাদদেশে মাল্যদান করেন। পাশাপাশি উত্তর কলকাতা থেকে বিজেপি-র কর্মসূচিও রয়েছে তাঁর। যদিও সেই মিছিলে দেখা যাবে না শুভেন্দু অধিকারীকে।
আরও পড়ুন: মিলল আশার বাণী, ফের হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় কাঁপবে বঙ্গবাসী
অন্যদিকে স্বামীজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে ময়দানে নেমেছে তৃণমূলও। আজ বিশেষ পদযাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতা যুব তৃণমূলের ডাকে, দুপুর দুটোয় শুরু হবে এই পদযাত্রা। গোলপার্কে স্বামীজীর মূর্তিতে মালা দেবেন অভিষেক। এরপর গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘বিবেকের মিছিল’-এ অভিষেক , এদিকে গেরুয়া শিবিরও শ্যামবাজার থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করেছে। পদযাত্রায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর থাকার কথা থাকলেও, বিজেপি সূত্রের খবর কলকাতার এই পদযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন না শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার রাতেই বিজেপির তরফে সে কথা জানানো হয়। তবে মিছিলের লড়াইয়ে না থাকলেও, সকালে স্বামী বিবেকানন্দর বসতবাড়ি সিমলা স্ট্রিটে গিয়ে মূর্তিতে মাল্যদান সেরেছেন শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন এই রাজ্যের বিজেপি-র নির্বাচনী প্রস্তুতির তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য।
মঙ্গলবার সকাল আটটা নাগাদ উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দর বাড়িতে পৌঁছন শুভেন্দু। সোজা চলে যান গর্ভগৃহে। সেখানে বিবেকানন্দর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপরই বাইরে এসে বলেন, “২০ বছর হয়ে গেল। প্রতি বছর এখানে আসি। মহারাজরা আমাকে সুযোগ করে দেন। যখন ছাত্র ছিলাম, কলেজে পড়তাম তখন থেকে আসছি। পরে কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ হয়েও এসেছি। গত বছর মন্ত্রী হিসাবে এসেছি। এবছর একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে এসেছি। ভারতীয় হিসাবে এসেছি।”
এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনে সৌজন্য বিনিময় করেন। এরপরই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, এইবারই শেষ, আর তো থাকবেন না। সর্দার প্যাটেলের ৩০০ কোটির মূর্তি হয়েছে। এবার কলকাতাতেও একটা মূর্তি হোক।