নজরবন্দি ব্যুরোঃ রাজ্যের একাধিক ক্লাবকে পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য ৩ বছরে ৫ লাখ টাকা করে দিত রাজ্য সরকার। এবার থেকে কিন্তু সেই আর্থিক অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। অভিযোগ, অনেক ক্লাবই এই অনুদানের খরচের হিসাব সঠিকভাবে দিতে পারেনি। তবে, এই অনুদানের সঙ্গে বারোয়ারি ক্লাবগুলিকে দেওয়া পুজোর অনুদানের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুনঃ শপথ নিয়ে ‘বিধায়ক’ হলেন ধূপগুড়ির নির্মল, বোসকে উপহার দিলেন রাজবংশী গামছা!
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর ক্লাবগুলিকে পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সব ক্লাব নয় রাজ্যের কিছু বাছাই করা ক্লাব এই পরিমাণ অর্থ পেত। ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে প্রথমে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হত। তারপর আগামী ৩ বছর ১ লক্ষ টাকা করে পেত ক্লাবগুলি। যদিও কোভিড পর্বে এই অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এবার তা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল।
ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা নিয়ে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সে পরিকাঠামোর জন্য হোক বা পুজোর জন্য। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাবগুলিকে যে টাকা দেওয়া হত তার খরচের পুঙ্খানুপঙ্খ হিসাব দিতে অনেক ক্লাবই ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণেই বন্ধ হচ্ছে এই অনুদান।
সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ, ক্লাবকে আর্থিক অনুদান দেওয়া বন্ধ করল মমতা সরকার
পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম বছর ৭৮১টি ক্লাব এই অনুদান পেয়েছিল। সেই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর ১৫০০ ক্লাবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয়েছিল। তবে, খরচের হিসাব না দিতে পারার জন্য এই অনুদান বন্ধ করতে বাধ্য হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
