লোকসভা নির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল বিজেপি সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, বেনামী নির্বাচনী বন্ডের ফলে সংবিধানে প্রদত্ত বাকস্বাধীনতার অধিকার , তথ্যের অধিকার লঙ্ঘিত হয়।
আরও পড়ুন : এখন স্থিতিশীল সুকান্ত, নিউরো ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসা চলছে বিজেপি রাজ্য সভাপতির
তাই মোদী সরকারের জারি করা নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প অসাংবিধানিক এবং এটি শীঘ্রই বাতিল করা উচিৎ। আর সেই যুক্তিতেই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, কে বা কারা আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে, সেই তথ্য হাতে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্প এনেছিল। কিন্তু অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে বিরোধীরা তখনই চ্যালেঞ্জ করেছিল। তখন এই রায় সংরক্ষিত রাখা হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ নিয়মিত এই মামলার শুনানি করে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী , এখন থেকে নির্বাচনী বন্ড আর গোপন থাকবে না,
‘নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক’, সুপ্রিম কোর্টে অস্বস্তিতে বিজেপি সরকার
এখন জনগণ জানতে পারবে কে কোন দলকে অর্থায়ন করছে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, নির্বাচনী বন্ড স্কিম তথ্যের অধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। এর অর্থ হল, নির্বাচনী বন্ড স্কিম বাতিল করা হবে না, তবে দাতার পরিচয় গোপন রাখার বিষয়টি সরিয়ে রাখার নিয়মটি সরানো যেতে পারে। নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের আইনি বৈধতা সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।