নজরবন্দি ব্যুরোঃ শেষের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন জৌলুস বাড়ছে ‘দাদাগিরি’র। ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অতিথি টলিউডের সবচেয়ে বিতর্কিত জুটি যশ দাশগুপ্ত-নুসরত জাহান। ‘দাদা’র মুখোমুখি হয়ে এ দিন তাঁরা যেমন মনের কথা জানাবেন, তেমনই অংশ নেবেন খেলায়। এবং এই প্রথম প্রকাশ্যে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে বলবেন, ‘ভালবাসি’!
আরও পড়ুনঃ এই শিল্প সম্মেলন আগামীদিনে রাজ্যের উন্নয়নে পথ দেখাবে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় রাজ্যপাল
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) ‘দাদাগিরি’তে যশ-নুসরত। এই প্রথমবার শোয়ে দেখা যাবে টলিউডের তারকা জুটিকে। খেলার পাশাপাশি প্রেমের জোয়ারেও ভাসেন ‘যশরত’। প্রকাশ্যে এসেছে বিশেষ এই এপিসোডের প্রোমো। তাতেই কটাক্ষের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিশেষ এই এপিসোডের জন্য নীল রঙের পোশাক পরে আসেন যশ (Yash Dasgupta)। নুসরতের (Nusrat Jahan) পরনে ছিল মেরুণ পাড়ের সাদা শাড়ি। একে অন্যকে চোখে হারাচ্ছিলেন তারকা যুগল। ‘কে কার বেশি খেয়াল রাখে?’ এই প্রশ্ন করেন সঞ্চালক সৌরভ। প্রশ্নের উত্তরে একে অন্যের দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন।
যশ-নুসরত ছাড়াও শোয়ে বাবুল সুপ্রিয় এবং তাঁর স্ত্রী রচনাকে দেখা যাবে। থাকবেন লোপামুদ্রা মিত্র এবং জয় সরকার। প্রোমোয় বাবুলকে ‘হাম তুম’ ছবির গান গাইতে দেখা যাচ্ছে। প্রেমের এই গানেই আবেগের স্রোতে ভাসেন যশ-নুসরত। যশের কাঁধে মাথা রেখেও ভালবাসা জাহির করেন নুসরত।
দু’জনের এই রসায়ন অনেকেরই পছন্দ হয়েছে। আবার অনেকে কটাক্ষও করেছেন। ‘আদিখ্যেতা দেখে বাঁচিনা বাপু’, ‘প্রত্যেক বছর নতুন একেকটা জামাই নিয়ে এস নুসরত’, এমন মন্তব্য করা হয়েছে। একজন আবার লেখেন, ‘পরের বছর কাকে সাথে দেখতে পাবো কে জানে।’ কেউ কেউ আবার তারকাদের বদলে শোয়ে সাধারণ প্রতিযোগীদের দেখানোর পরামর্শও দিয়েছেন।
একে অন্যকে চোখে হারাই যশ-নুসরত, এবার ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে প্রকাশ্যে প্রেম দুজনের
নিখিল জৈনের সঙ্গে মনোমালিন্যের খবর প্রকাশ্যে আসার কিছু সময় পর থেকেই যশ-নুসরতের সম্পর্কের খবর শোনা যায়। রটনা অল্প সময়েই ঘটনায় পরিণত হয়। অন্তঃসত্ত্বা নুসরতের ছায়াসঙ্গী ছিলেন যশ। পরে সন্তানের বাবা হিসেবে যশের নামই নথিভূক্ত করান। এখন একসঙ্গেই থাকেন দু’জন। স্বামী হিসেবেই যশকে নাকি পরিচয় করান নুসরত। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে তারকা এই যুগলকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। তবে বরাবরেই মতোই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামান না ‘যশরত’।