নজরবন্দি ব্যুরোঃ বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে জেরবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালতের নির্দেশে পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। এরই মধ্যে সরকারী হিসেব ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত দশ বছরে ৭০১৮ টি স্কুল উধাও হয়ে গেছে। শিক্ষা দফতরের তরফে এমনটাই তথ্য জানানো হয়েছে। সরকারী স্কুলের প্রতি অনীহা থেকেই এই ঘটনা? রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য।
সম্প্রতি শিক্ষা দফতরের তরফে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শেষ ১০ বছরে রাজ্যে ৭০১৮ টি বিদ্যালয় কমেছে। ২০১২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৭৭,৭১৭। ২০২২ সালে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭,৬৯৯। সবচেয়ে বেশী বিদ্যালয় কমেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। ১১৮২ টি স্কুল প্রাথমিক স্কুল কমেছে।
আবার পরিসংখ্যান বলছে দশ বছরে পুরুলিয়ায় প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা বেড়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকায় বেড়েছে স্কুলের সংখ্যা। বাকি সমস্ত জেলাতেই গত ১০ বছরে কমেছে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা। পূর্ব মেদিনীপুরে বিদ্যালয়ের সংখ্যা কমেছে ৮৬৭ টি। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম দুই জেলা মিলিয়ে স্কুলের সংখ্যা কমেছে ১০৪৭ টি।
সরকারী স্কুলের প্রতি অনীহা, স্কুল বন্ধের সংখ্যা বাড়ছে রাজ্যে
গত ১০ বছরে বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যাও। তাই শিক্ষক এবং ছাত্র-ছাত্রী না থাকার কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ দুর্নীতির কারণে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে যোগ্য প্রার্থীদের। দীর্ঘ সময় ধরে লাগাতার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশে ২৬৯ জনের চাকরি চলে যাওয়ার ঘটনার মধ্যে শিক্ষা দফতরের এই রিপোর্টে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।