নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভোটকেন্দ্রিক হিংসায় ঘরছাড়াদের ফেরাতে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের। রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হতে থাকে বিভিন্ন প্রান্ত। শপথগ্রহন করেই এই হিংসা কড়া হাতে দমনের কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসা রুখতে মমতার কাজের প্রশংসাও করে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এই হিংসার কারণে অনেক রাজনৈতিক কর্মী ঘরছাড়া। তাদের ঘরে ফেরানো নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আদালত।
আরও পড়ুনঃ বৈঠকে অনুপস্থিতির কারণ শুভেন্দুই, অবশেষে মোদীকে জানিয়েই দিলেন মমতা।
আর এবার ওই ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে এবার নয়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই নিয়ে এক মামলার রায়ে পাঁচ সদস্যের বিচারপতি বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে হবে। যে কমিটিতে থাকবে রাজ্য ও মানবাধিকার কমিশন মনোনীত একজন ব্যক্তি। একই সঙ্গে থাকবেন রাজ্য সরকারের লিগাল সার্ভিসের মেম্বার সেক্রেটারি। কলকাতা হাইকোর্টের ওই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি আইপি মুখােপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার।
বিচারপতিরা রায়দানের সময় বলেন “প্রতিটা মানুষেরই তাঁর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করার অধিকার রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।” কীভাবে এই কাজ করতে হবে সেই উপায়ও বাতলে দিয়েছেন বিচারকেরা। জানিয়েছেন যারা হিংসার কারণে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তাদের লিগাল সার্ভিসের পক্ষ থেকে একটি মেল পাঠানো হবে। সেই মেলের ভিত্তিতে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ব্যক্তিকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ওই কমিটি। প্রসঙ্গত ভোটের পরেই রাজনৈতিক হিংসা দাবানলের চেহারা নেয়। আক্রান্ত হয় শাসক বিরোধী দুই পক্ষই।
ভোটকেন্দ্রিক হিংসায় ঘরছাড়াদের ফেরাতে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের। আগেই আদালত জানিয়েছিল হিংসা না রুখলে ওই এলাকার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হিংসা কমে এলেও অনেক কর্মীই এখনও ঘরছাড়া। তাই এবার তাদের ঘরে ফেরাতে নয়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।