শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকের উপর ওভারলোড, পথে বিচারালয়ে ধুঁকছে শিক্ষার ভবিষ্যৎ! #Editorial

শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকের উপর ওভারলোড, পথে বিচারালয়ে ধুঁকছে শিক্ষার ভবিষ্যৎ! #Editorial
স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা অপ্রতুল! হবু শিক্ষকরা লড়ছেন পথে বিচারালয়ে!

অর্ক সানা, নজরবন্দিঃ কথায় আছে যে সয়, সেই রয়! কিন্তু প্রশ্ন হল কত আর সইবেন হবু শিক্ষকরা? সহ্য আর অপেক্ষা করতে করতে কাটছে একের পর এক বসন্ত, শুধু স্বপ্নের ভোর আর আসেনা। দেড় বছরের বেশি সময় পার করে স্কুল খুলেছে রাজ্যে। পড়ুয়া আছে, সেকশন বেড়েছে কিন্তু পড়ানোর লোক কোথায়? একদিকে যখন শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকের উপর ওভারলোড পড়ছে মারাত্মক ভাবে। তখন পথে বিচারালয়ে ধুঁকছে শিক্ষার ভবিষ্যৎ!

আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে ছুটি ৫ দিন, স্কুল খুললেও বদলে গেল ক্লাসের সময়!

রাজ্যে গত কয়েক বছরে আদালত বিশেষ করে হাই কোর্ট নামক দর্শনীয় ‘বস্ত’ টিকে ফি মাসিক ভাবে চাক্ষুস করে চলেছেন বাংলার হবু শিক্ষকরা। যদি গড়ে ধরা যায় তাহলে দেখা যাবে সপ্তাহে একটি হলেও নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি থাকে হাই কোর্টে। আর পথে প্রান্তরে পড়ে থাকা? সেতো নিত্য দিনের সমাচার। এই লেখা যখন টাইপ করছি তখনও ধর্মতলায় ধর্ম প্রাপ্তির লক্ষ্যে শিক্ষকতা নামক চাকরির পরীক্ষায় পাশ করা একদল চাকরিপ্রার্থী বসে রয়েছেন ধর্ণায়। আজ ৩৫ দিন!

যদিও ৩৫ দিন বললে ভুল হবে, আসলে প্রায় ১ বছর। এদের আবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যে প্রতিশ্রুতির ১৮৭ দিন পর এপিসোডের রিপিট টেলিকাস্ট করেন অধুনা ‘ব্রাত্য’ শিক্ষামন্ত্রী! ৪০ দিনের প্রতিশ্রুতির বেড়া ডিঙিয়ে হবু শিক্ষকরা সন্তান কোলে কাটিয়ে ফেলেছেন আরও ৩৫ দিন! এই ধর্ণামঞ্চর থেকে ৯০০ মিটার দূরে জনতার ভোটে জিতে জনস্বার্থে বাক বিতণ্ডা করেন জননেতারা! বুঝলেন না? বিধানসভা!

শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকের উপর ওভারলোড, পথে বিচারালয়ে ধুঁকছে শিক্ষার ভবিষ্যৎ

শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকের উপর ওভারলোড, পথে বিচারালয়ে ধুঁকছে শিক্ষার ভবিষ্যৎ
শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকের উপর ওভারলোড, পথে বিচারালয়ে ধুঁকছে শিক্ষার ভবিষ্যৎ

এরা হলে নবম দশম, একাদশ দ্বাদশের হবু শিক্ষক। আর উচ্চ প্রাথমিক? টেট? সব লিখতে গেলে ইতিহাস হয়ে যাবে! প্রসঙ্গে আসি। স্কুল খোলার পর কথা হচ্ছি পরিচিত কিছু শিক্ষকের সাথে। জানতে পারলাম, ‘ওভার লোড’ হচ্ছে! কেন? কোভিড বিধির কারনে ২৫ জন পড়ুয়া পিছু একটি করে ব্যাচ তৈরি করা হয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে প্রতি ক্লাসে ন্যূনতম ২টি ব্যাচ। আবার যে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বেশি, সেখানে ৩টি ব্যাচও রয়েছে। ফলে একই বিষয় দ্বিগুণের বেশি সময় ধরে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের। কি আর করা যাবে, স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা অপ্রতুল! হবু শিক্ষকরা লড়ছেন পথে বিচারালয়ে!