নজরবন্দি ব্যুরোঃ আদানির শেয়ারে পতন এবং চিন সীমান্তের বিতর্ককে কেন্দ্র করে শুক্রবারও সংসদে জারি রইল তরজা। শুক্রবার সকালেই বৈঠকে বসে রণণীতি নির্ধারণ করে দুই পক্ষ। এরপরেই সকাল থেকে অধিবেশন শুরু হতেই সংসদের ভিতরে হই হট্টগোল শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ধরে আদানি ইস্যুতে উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষ। দুপুর আড়াইটে অবধি সংসদের উভয় কক্ষ স্থগিত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ Anubrata Mondal: জামিন চাইলেন না কেষ্ট, জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
এদিন অধিবেশন শুরুর আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকাজুন খাড়গের চেম্বারে বৈঠক করে ১৬ টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। সেখানেই বিরোধীদের তরফে আজ অধিবেশনের রণনীতি স্থির করা হয়। অধিবেশন শুরু হতেই হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে আদানি গ্রুপের কারসাজি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। গোটা বিষয়টি সংসদীয় যৌথ কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি জানান।
এদিন বিরোধীদের সমস্ত প্রস্তাব খারিজ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনকড়। অন্যদিকে, বিরোধীদের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এরপরেই বিরোধী পক্ষের তরফে সংসদ কক্ষের ভিতরেই স্লোগান শুরু হয়।

রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকাজুন খাড়গে বলেন, মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরা আদানি ইস্যুর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইছি। সেটা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে হোক অথবা যৌথ সংসদীয় কমিটির তত্ত্বাবধানে হোক। একইসঙ্গে প্রতিদিন তদন্তে কী কী জিনিস উঠে আসছে সে সম্পর্কেও অবগত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আদানি ইস্যুতে উত্তাল সংসদের উভয় কক্ষ, স্থগিতাদেশের নির্দেশ

একইসঙ্গে সরব হয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিং। গৌতম আদানি কোনভাবেই যাতে না দেশের বাইরে যেতে পারেন, সেবিষয়ে নজর রাখার জন্য ইডি, সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন আপ সাংসদ।