নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ২১ মে পদত্যাগ করেন। সেই কেন্দ্রেই এখন যুযুধান প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন ভোট শেষে কম্বেশি দুই পক্ষেরই দাবি তাঁরা জিতছেন। মার্জিন কত হবে জয়ের সেকথাও বলে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর ঘোষণা, দিদি ৫০ হাজার ভোটে জিতবে।
আরও পড়ুনঃ দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা, মৃত্যুতে উত্তর ২৪ পরগনা! দেখুন আজকের বুলেটিন
এই কেন্দ্রেই কদিন আগে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘‘ভবানীপুর থেকে জিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসছেন। এই উপনির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবেন। আর জয়ের ব্যবধানে তিনি নিজের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবেন।’’ এই প্রসঙ্গে বলা যায় ২০১৬ নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন ২৫ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।
এদিনের ভোট শেষ হতেই ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, দিদি ৫০ হাজার ভোটে জিতবে। তাঁর কথায়, “বিজেপি ভেবেছিল এখানে নন্দীগ্রামের মতো কারসাজি করবে। নির্বাচন কমিশনকে কিনে নেবে। বৃষ্টিকেও ডেকেছিল, ভাবছিল ভোট বাতিল হয়ে যাবে। সবকিছু করেও বিজেপি আজ পরাস্ত।” অন্য দিকে বিজেপি শিবিরের দাবি তাঁদের জয় নিশ্চিত।
ভবানীপুরের ভোট মিটে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, জয়ের বিষয়ে বিজেপি আত্মবিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “একটি অভূতপূর্ব ঘোষণার মধ্যে দিয়ে ভবানীপুর স্পেশালের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তাতে খুব একটা যাত্রী এখনও পর্যন্ত কেউই দেখতে পেলেন না। কোথাও ভুয়ো ভোটার ধরা পড়লেন, কোথাও পালিয়ে গেলেন। রাজ্যে তিনজন দাপুটে মন্ত্রী ঘুরে বেড়ালেন। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও অবশ্যই প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এটা কোন নির্বাচনী বিধির মধ্যে পড়ে?”
দিদি ৫০ হাজার ভোটে জিতবে, ঘোষণা ফিরহাদের।
অন্যদিকে সিপিআইএমের পক্ষে জয় বা পরাজয়ের কোন দাবি করা হয়নি। ভোট শেষে স্থানীয় সিপিআইএম নেতারা জানান তাঁরা ‘প্রায়’ সব বুথেই এজেন্ট দিতে পেরেছে। যদিও সূত্রের দাবি ‘প্রায়’ ২৫ শতাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি সিপিআইএম। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মূল লড়াই হবে তৃণমূল বনাম বিজেপির। জামানত বাঁচানোর লড়াই লড়ছেন সিপিআইএম প্রার্থী!