নজরবন্দি ব্যুরোঃ পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ডাকা দলীয় সভায় সোমবার আগামী দু’মাসের বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নিছক জনসংযোগ নয়, এই কর্মসূচির লক্ষ্য মা-মাটি-মানুষের জীবনের সঙ্গী হওয়া।
আরও পড়ুনঃ কি হবে রাজ্যের হবু শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ? চাকরি নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক
সোমবার নজরুল মঞ্চের সভায় ওই কর্মসূচিকে তৃণমূলের ‘কর্মযজ্ঞ’ বলে ঘোষণা করে অভিষেক জানান, এটি বাংলার ১০ কোটি মানুষের জন্য ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’। যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে ‘দিদির দূত’। কিন্তু এই জনসংযোগ থেকে কিছুটা ছার পেয়েছেন দলের তারকা বিধায়ক সাংসদরা। তৃণমূলনেত্রীর দেওয়া ছাড়ের তালিকায় রয়েছেন দলের তিন লোকসভা সাংসদ, দেব, মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জহান।
মমতা এদিন বলেন, ‘‘নুসরত টাইম দেয়নি। ওরা একটু ফিল্ম-টিল্ম করে, দেব, নুসরত, মিমি ওদের একটু রিলাক্সেশন দিবি।’’ অপর দিকে মন্ত্রী তথা বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি এখনও জাতীয় স্তরের ক্রিকেটে রয়েছেন। তাই সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি থেকে তাঁকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি থেকে মমতা ছাড় দেননি বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, সোহম চক্রবর্তী এবং সাংসদ শতাব্দী রায়কে।

অপর দিকে আর এক মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন কে নিয়ে বেজায় চটেছেন মমতা। ভরা সভাতেই দলনেত্রীর কাছে ধমক খেলেন গায়ক তথা বিধায়ক। চড়া সুরে তাঁকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার বার্তাই দিলেন মমতা। ইন্দ্রনীল সেনের দায়িত্ববোধের অভাব দেখে মেজাজ হারান মমতা। এদিন মমতা বলেন, সাংস্কৃতিক শাখাকে আরও অ্যাকটিভ করতে হবে।
ইন্দ্রনীল সেন তা করেননি। যারা কাজ করতে আগ্রহী, তাদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এর পরেই ইন্দ্রনীলকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তুমি, রাজ চক্রবর্তী আর বাবুল সুপ্রিয় বসবে এটা নিয়ে। যে শিল্পীরা সময় দিতে চায় তাদের জন্য ভাবো। রাজকে দায়িত্ব দেওয়া আছে বলে কি তুমি কোনও দায়িত্ব নেবে না? শুধু গান করবে? সেটা চলবে না। সবাই মিলে কাজ করো। সাংস্কৃতিক পরিবার তৈরি করো।”
দিদির সুরক্ষা কবচ থেকে ছাড় দেব-মিমিদের, সবার সামনে ধমক খেলেন ইন্দ্রনীল
এদিন সবার উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, সঠিকভাবে মাথা উচুঁ করে সৎ পথে চলতে হবে। লোভ সম্বরণ করতে হবে। নিজেকে সামলাতে শিখতে হবে। দলনেত্রীর কথায়, “আমি দলের একজন দায়িত্বপূর্ণ নেতা, দায়িত্বপূর্ণ কর্মী, দায়িত্বপূর্ণ পাহারাদার। এটা মনে রাখুন। প্রত্যেককে কাজ করতে হবে। আমি একা খেটে মরব, আপনারা ভাববেন না, সেটা হবে না।”