নজরবন্দি ব্যুরোঃ আদালতের নির্দেশের পরেও দেওয়া হয়নি নম্বর। যা নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী সপ্তাহে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কেন আদালতের নির্দেশ মানা হল না? প্রয়োজনে সমস্ত নিয়োগ খারিজ করে দেওয়া হবে। এমনটাও মন্তব্য করতে দেখা গেল বিচারপতিকে। কমিশন একটা প্রজন্মের সঙ্গে খেলা করছে। সংযোজন বিচারপতির।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: আজ একাধিক মাইলফলকের সামনে বিরাট কোহলি
২০১১ সালে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের সময় পাঠ্যক্রমের বাইরে প্রশ্ন আসায় মামলা করেছিল ৮৩ জন। গত বছরের জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের তরফে নির্দশ দেওয়া হলেও সেই নির্দেশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে মানা হয়নি। এমনটাই অভিযোগ তোলা হয়। শুক্রবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হছে, তা দেখেই কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

তাঁর বক্তব্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন কি আদালতের সঙ্গে খেলা করছে? নিজেরা নিয়োগ করছে। আর নিজেরাই ভুল করছে। কেন আদালতের নির্দেশের পরেও তা মানা হল না? গোটা বিষয়টি কি পরিকল্পিত? এমনও মন্তব্য করেন বিচারপতি। এরপরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, কমিশন যে একটা প্রজন্মের সঙ্গে খেলা করছে এবিষয়ে বলতে কোনও দ্বিধা নেই।
কমিশন একটা প্রজন্মের সঙ্গে খেলা করছে, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার

একইসঙ্গে কমিশনের উদ্দেশ্যে কার্যত ভৎসনার সুরে বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, আপনারা ভেবেছেন কি? প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। আপনাদের সব নিয়োগে সন্দেহ রয়েছে। আদালতের নির্দেশের উপর এ ভাবে চালাকি করলে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব। নিয়োগ দুর্নীতিতে বারবার কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে বিচারপতিদের। আজ আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে প্রশ্ন উঠতেই কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।