নজরবন্দি ব্যুরোঃ শনিকে অনেকেই পাপ গ্রহ মনে করেন। শনিকে নিয়ে রয়েছে অনেক প্রচলিত ধারনাও। শনি দেব হলেন সমস্ত দণ্ড মুণ্ডের বিচারকর্তা। তবে তিনি যেমন অল্পে তুষ্ট তেমনই কুপিত হন অল্পতেই। শনিদেবতা একবার রেগে গেলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাই অন্য দেবতাদের তুলনায় নিয়ম নীতি সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে মেনে চলতে হয়। আজ শনিবার। শনিঠাকুরের দিন। তাই এই দিন কিছু বিধি আপনাকে মেনে চলা অবশ্যই কর্তব্য। বিশেষত যাদের শনির দশা চলছে তাদেরকে পুজো দিতে শনি মন্দিরে যেতে হবে, আর তখনই এই নিয়ম গুলো অবশ্যি মেনে চলতে হবে নাহলে হিতে বিপরীত হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। শনিদেবতাকে তুষ্ট রাখতে কি কি করবেন?
আরও পড়ুনঃ আইসক্রিমেই কমবে ওজন, দূরে থাকবে স্তন ক্যানসার
শনিবার যদি শনি মন্দিরে পুজো দিতে গেলে ভুলেও শনিঠাকুরের চোখের দিকে সরাসরি তাকাবেন না। শনি দেবতার মূর্তির পুরোপুরি সামনে দাঁড়াবেন না। একটি পাশ থেকে দাঁড়িয়ে দর্শন করবেন। দর্শনের সময় চোখ বন্ধ রাখুন নাহলে শনি ঠাকুরের পায়ের দিকে তাকান। পায়ের দিকে তাকালে শনি দেবতা অশীর্বাদ করেন। শনি দেবতার চোখের দিকে তাকালে শনির দৃষ্টি সরাসরি পড়ে। যা অত্যান্ত অশুভ।

শনি পুজোর দিন পোশাক নির্বাচনেও মনযোগ দিতে হবে। লাল রঙের পোশাক একেবারেই পরবেন না। নীল বা কালো রঙের পোশাক পরলে শনিদেবতার আশির্বাদ পেতে পারেন।
শনি ঠাকুরের দিকে পিছন ফিরে তাকাবেন না। শনি পুজোর দিন স্থির হয়ে দাঁড়াবেন। আর পুজো করার পরে যে অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই অবস্থাতেই মন্দির থেকে বার হয়ে যান। তাহলে শনি ঠাকুর কুপিত হয়ে অভিশাপ দিতে পারে।
শনি ঠাকুরকে অনেকেই তেল অর্পন করেন।তাঁরা ভুলেও তামার পাত্র ব্যবহার করবেন না। লোহার পাত্র তেল দিতে পারেন। কারণ তামা হল সূর্যের কারক। সূর্যদেব আর শনিদেব একে অপরের পরম শত্রু। বিষয় গুলি মাথায় রাখবেন নাহলেই বিপদ।
শনির দৃষ্টিকে ভয় পাচ্ছেন! এই নিয়মগুলি পালন করলে শনি দেবতা অবশ্যই প্রসন্ন হবেন
সাধারণ পুজো করতে বসা হয় উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে। কিন্তু শনি দেবতা পশ্চিম দিকের অধিপতি। তাই শনি পুজোর সময় পূজারীর মুখ পশ্চিম দিকে রাখতে হবে। কোন ভাবেই উত্তর বা পূর্বদিকে বসে পুজোও দেবেন না তাতে তিনি ক্ষুব্ধ হন আর তাঁর দৃষ্টি আপনার ওপর বর্ষিত হতেই পারে।