নজরবন্দি ব্যুরোঃ প্রথমার্ধের শেষে কর্নার থেকে সুযোগ পায় ব্রাজিল। রাফিনহার ক্রসে গোলের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গোল আসেনি। প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থায় সাজঘরে যায় দু’দল। তবে একদম ম্যাচের শেষভাগে কাসেমিরোর গোলে সুইৎজারল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল। গ্রুপ জি-র ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা ছিল সাম্বা বাহিনীর। বিশ্বকাপের সেই খেলাতেই জয়লাভ করল হলুদ সবুজ জার্সিধারীরা।
আরও পড়ুনঃ মেক্সিকোর জার্সিতে লাথি মেসির! ভয়ঙ্কর বিতর্কের সেই ভিডিও ভাইরাল
সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্রাজিল। মূলত বাঁ প্রান্ত থেকেই হচ্ছে সব আক্রমণ। ভিনিসিয়াস নিজের গতি ব্যবহার করছেন। ১৮ মিনিটের মাথায় পাকুয়েতার ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি রিচার্লিসন। নাহলে এ বারের বিশ্বকাপে নিজের ৩ নম্বর গোল করতে পারতেন তিনি। এরপর ২৬ মিনিটের মাথায় ফের সুযোগ। বক্সের ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান রাফিনহা। পায়ে বলে সংযোগ ভাল হয়নি ভিনিসিয়াসের। গোল বাঁচিয়ে দেন সোমার।
আজকের খেলা হয় মূলত সুইৎজারল্যান্ডের অর্ধেই। মাঝমাঠের দখল কার্যত ব্রাজিলের পায়ে। তবে সুইৎজারল্যান্ডের রক্ষণ ব্যাপক মজবুত। এরই মাঝে ৩০ মিনিটের মাথায় ফের সুযোগ, বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে শট মারেন রাফিনহা। কিন্তু গোল মেলেনি।
বিরতিতে দলে বদল করেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামান তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে বিরতির পর প্রথমবার আক্রমণে উঠে আসে সুইৎজারল্যান্ডে। বাঁ প্রান্ত থেকে ডান প্রান্তে ভারগাসের উদ্দেশে বল বাড়ান জাকা। ভারগাস সেই বল ধরে বক্সে পাঠান। কিন্তু সুইৎজারল্যান্ডের কোনও ফুটবলার বল পাওয়ার আগেই ব্রাজিলের অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা সেই বলের দখল নেন।
কাসেমিরোর গোলে সুইৎজারল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল
৬৪ মিনিটের মাথায় সুইৎজারল্যান্ডের জালে বল জড়িয়ে দেন ভিনিসিয়াস। প্রথমে রেফারি গোল দিলেও পরে ভার প্রযুক্তির সাহায্যে বাতিল হয় সেই গোল। আক্রমণ তৈরি করার সময় অফসাইডে ছিলেন রিচার্লিসন। সেই কারণে গোল বাতিল হল। ভিনিসিয়াস অফসাইডে না থাকলেও সতীর্থের ভুলের খেসারত দিতে হয় তাঁকে।
অবশেষে গোল করে ব্রাজিল। ৮০ মিনিটের মাথায় বাঁ প্রান্ত ধরে ভিনিসিয়াস-রদ্রিগো যুগলবন্দিতে বক্সের মধ্যে বল পান কাসেমিরো। ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। সুইৎজারল্যান্ডের ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে সেই বল জালে জড়িয়ে যায়। কিছু করার ছিল না সোমারের।