নজরবন্দি ব্যুরোঃ বোর্ড গঠনের পরেও নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে ঝালদা পুরসভাকে কেন্দ্র করে। ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক পদের বিরোধীতা জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীরা। সোমবার দুপুর ২ টো নাগাদ মামলার শুনানি। এই মামলায় ফের স্থগিতাদেশ জারি হলে ঝালদা নিয়ে আরও জটিলতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Mamata-Modi: দিল্লি সফরে মমতা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক নিয়ে জল্পনা
উল্লেখ্য, পুরভোটের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নজর কেড়েছিল ঝালদা পুরসভা। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর সেই ঝালদা পুরসভা এখন রাজ্য রাজনীতির নজরে। ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল ও কংগ্রেস ৫ টি করে আসনে জয়লাভ করে। বাকি দুটি জেতে নির্দল। সেখানে প্রথমে তৃণমূলের বোর্ড গঠন করে। পরে তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল বিরোধীরা।

গত মাসেই তৃণমূল পুর প্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস সহ নির্দলের কাউন্সিলররা। পরবর্তীতে নতুন পুরপ্রধান বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জটিলতা আরও বাড়তে শুরু করেছিল। তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেন নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায়। পরে সাত কাউন্সিলরের সমর্থনে ৩ ডিসেম্বর পুরপ্রধান পদে নির্বাচিত হন শীলা চট্টোপাধ্যায়।
জটিলতা শুরু হয়েছে আগে থেকেই। রাজ্যের তরফে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপাল অ্যাক্ট ১৯৯৩, সাবসেকশন ৪, অফসেকশন ১৭ বিধি মেনে ‘অস্থায়ী’ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে আপাতত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূলের কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে। তিনি চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলেই জানা গেছে।
ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক পদের বিরোধীতা, হাইকোর্টে গেল কংগ্রেস

প্রশাসক পদে জবা মছুয়াকে আনার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কংগ্রেস। রাজভবনের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জোড়া চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অভিযোগ, সমস্ত পুর বিধি-আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বাচিত পুরপ্রধানের বদলে ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। যা ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক চাপানুতোর শুরু হয়েছে।