নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভুয়ো নিয়োগের পর ২ থেকে ৩ বছর ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জেলা পরিদর্শকদের যুক্ত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছিল। এবার ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সক্রিয় সিআইডি। মুর্শিদাবাদের সুতির এআর গোথা হাইস্কুলে উপস্থিত হন সিআইডি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুনঃ Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট সেন্ট জেভিয়ার্সের, থাকবেন রাজ্যপাল
জানা গেছে, এর আগে ওই স্কুলে গিয়ে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির আধিকারিকরা। ওই সময় যারা স্কুল পরিদর্শক এবং ডিআই ছিলেন, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভবানীভবনে তলব সিআইডির। যা এখনও অবধি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিআইডির তরফে নেওয়া কড়া পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলে প্রধানই শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি কয়েক বছর ধরে ভুগোলের শিক্ষক হিসেব কর্মরত রয়েছেন তিনি। এক চাকরি প্রার্থী আরটিআই করে জানতে পারেন ভুগোলের বিষয়ে পরীক্ষা দেননি ওই শিক্ষক। এমনকি তাঁর নামের কোনও সুপারিশ করা হয়নি।

আরটিআই করে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেখা গেছে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয় অরবিন্দ মাইতির নামে আরও এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন ওই ভুগোলের শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি। যা দেখেই হতবাক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
এই ধরনের ঘটনা আর কত ঘটেছে? যাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁর তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। ছাত্রদের ভবিষ্যত কী? এই মামলার তদন্ত করুক সিআইডি। এমনটাই নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি এবিষয়ে সিআইডি তদন্ত করবেন কি না, তা জানাতে হবে আদালতকেই। একইসঙ্গে ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন বিচারপতি।
ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সক্রিয় সিআইডি, নিল কড়া পদক্ষেপ

বিচারপতি বলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যুক্ত না থাকলে এই ধরনের দুর্নীতি হতে পারে না। একজন ভুয়ো শিক্ষক ২-৩ বছর চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন। জেলা স্কুল পরিদর্শকরা না জানলে কীভাবে এটা সম্ভব? বুধবারই সিআইডি ডিআইজিকে ডেকে পাঠান। তার হাতেই তদন্তভার তুলে দেন।