নজরবন্দি ব্যুরো: রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। শুক্রবারই এই মামলার শুনানি শুরু হয়। হাইকোর্টে স্বস্তি প্রাক্তন উপাচার্যের। এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশকে নতুন নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেন। চলতি মাসের শেষে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুন: Visva Bharati-র উপাচার্যের মেয়াদ শেষেও অস্বস্তিতে বিদ্যুৎ, শুক্রবার কি দেবেন হাজিরা?
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ৬ টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তাঁর নাম জড়িয়েছে ফলক বিতর্কে। মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে বিদ্যুতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার ফের বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নোটিস ধরায় শান্তিনিকেতন থানা। ইতিমধ্যেই তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তিন সপ্তাহ হাজিরা দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় চেয়ে নিয়েছেন। তাই এদিন পুলিশের তরফে ফের তাঁকে থানায় হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়। অভিযোগগুলি খারিজ ও রক্ষাকবচের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিদ্যুৎ।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, ‘প্রাক্তন উপাচার্যকে ৫টি মামলায় ৭টি নোটিস দেওয়া হয়েছে। শান্তিনিকেতন থানা থেকে নোটিস দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। জামিন অযোগ্য ধারাও দেওয়া হয়।’ রাজ্যের তরফের আইনজীবী জানান, ‘কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। জিজ্ঞাসাবাদই করা হবে। ওনাকে সহযোগিতা করতে থানায় যেতে হবে।’
যাবতীয় সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসের তরফে জানানো হয়, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জেরা করতে পারবে পুলিশ। তবে প্রতিটি কেসের জন্য এক ঘণ্টার বেশি জেরা করা যাবে না। এছাড়া এখনই তাঁর বিরুদ্ধে বড় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। আগামী ২৯ নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে।
এখনই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ, হাইকোর্টে স্বস্তি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর
