নজরবন্দি ব্যুরো: লাগাতার জেরার চাপ, সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় মাদক যোগ সামনে আসার পর থেকেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত কয়েকদিন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর লাগাতার জেরা চালিয়ে গিয়েছে সুশান্তের টট্যালেন্ট মম্যানেজার জয়া সাহাকে ।তাকে জেরার মাধ্যমেই মাদক যােগে উঠে আসে KWAN এজেন্সির নাম।২০১৬ থেকে সুশান্তের সঙ্গেই কাজ করছেন জয়া।এমনকি KWAN এজেন্সির ১০ অংশীদারের মধ্যে জয়াও একজন। তার ২ শতাংশ অংশ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সোনার দামে ব্যাপক পতন, রেকর্ড হল কলকাতায়।
সুশান্তের সঙ্গে কাজ করার সময় বেশ কয়েকটি ছবি দেন তিনি অভিনেতাকে।বেশ কিছু প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলেন সুশান্তকে সূত্রের খবর, ২০১৬ থেকে ২০১৯ এর মধধ্যে ২১ টি ব্র্যান্ড্রের এনডাের্সমেন্ট দিয়েছিলেন জয়া সুশান্তকে।এছাড়া বেশ কয়েকটি ছবি ও ইভেন্টও পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ড্রাইভ ছবির জনন্য ২.২৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন সুশান্ত। এছাড়া কেদারনাথ, সােনচিড়িয়া ও ছিছেড়ে ছবিও জয়াই দিয়েছিলেন অভিনেতাকে।জানা গিয়েছে, ছিঘেঁড়ের জন্য ৫ কোটি, সােনচিড়িয়ার জনন্য ৫ কোটি ও দিল বেচারার জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা পারিশ্রমিক পান সুশান্ত।
লাগাতার জেরার চাপ, কেদারনাথের জন্য ৬ কোটি টাকা পেয়েছিলেন তিনি। আরও একটি ছবি দেওয়ার কথাও নাকি বলেছিলেন জয়া।নিজের বয়ানে জয়া বলেন, কুমার মঙ্গতের একটি ছবি সুশান্তকে দেবেন বলেছিলেন তিনি। এই ছবির জনন্য ১২ কোটি পারিশ্রমিক চান সুশান্ত। ছবির কাহিনি তার খুবই পছন্দ হয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ছবিতে সাইন করির সময় ৬ কোটি দেওয়া হয় তাকে। এরপরেই বেঁকে বসেন অভিনেতা।জয়া জানান, সুশান্তের মৃত্যুর আগে ৫ জুন তার সঙ্গে কথা হয় তার। তার আগে মার্চে অভিনেতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সেই সময় তার মধধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষষ্য করেছিলেন জয়া।
তার কথায়, “উনি আমার সঙ্গে কথা বলার মাঝেই উঠে হাঁটতে শুরু করছিলেন। আচমকা নিজের ঘরে চলে যাচ্ছিলেন আবার ফিরে আসছিলেন। বেশ কয়েকবার এমন করেন তিনি। একবার নিজের অবসাদের কথাও বলেছিলেন আমাকে। কিন্তু তখন আমি বিষয়টা ঠিক বুঝিনি।”দিশা সালিয়ানের সঙ্গেও কাজ করেছিলেন জয়া। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দুজনে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। KWAN এর জনন্য দিশার সঙ্গে কাজ করেছিলেন বলে জানান জয়া।