নজরবন্দি ব্যুরো: বেহাল রাস্তা, বেশি দূর এগোতে পারল না অ্যাম্বুল্যান্স। শেষমেশ মৃতপ্রায় রোগীকে খাটিয়া করে হাসপাতালের নিয়ে যেতে গিয়ে শনিবার পথেই মৃত্যু হল এক তরুণীর। এই দৃশ্য ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। আর এবার মালদার এই মৃত্যু প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বরের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে ভারতীয় নার্সকে ফাঁসির নির্দেশ, কারণ জানেন?
সিদ্দিকুল্লার মতে, ”ভাগ্যে মৃত্যু ছিল তাই হয়েছে। রাস্তার জন্য মৃত্যু হয়নি।” শাসক দলের নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না সিদ্দিকুল্লাকে। যদিও সিদ্দিকুল্লার এই মন্তব্যকে সমর্থন জানায়নি শাসক দল। এমনিতেই এই ঘটনার পর সরব হতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
সামাজিক মাধ্যমে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “ভাইপো বছরে দু’বার আমেরিকা যায় চিকিৎসা করাতে, কখনও দুবাই যায়… আর পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগণ এর স্থান হয় খাটিয়ায়। এ দৃশ্য দেখে শিউরে উঠলাম। মালদার বামনগোলায় এম্বুল্যান্স না পাওয়ায় খাটিয়া করে রোগী কে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে বাড়ির লোক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মানুষ সব দেখছে। এই ভাবে আর কতদিন? সমগ্র রাজ্যটাকেই তো খাটিয়াতে তুলে দিয়েছেন… ধিক্কার।”
ভাগ্যে মৃত্যু ছিল তাই হয়েছে, মালদার ঘটনায় ‘রাস্তা খারাপ’ প্রসঙ্গ উড়িয়ে বিতর্কে সিদ্দিকুল্লা!
জানা গিয়েছে, মালদার বামনগোলার গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের মালডাঙা গ্রামের বাসিন্দা মামনি রায় দিনকয়েক ধরে অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকলে মামনিকে বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরের মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পাওয়া গেল না অ্যাম্বুল্যান্স। কারণ, রাস্তার এমনই বেহাল দশা যে সেখানে অ্যাম্বুল্যান্স যেতে পারবে না। বাধ্য হয়ে মুমূর্ষু মামনিকে খাটিয়াতে শুইয়েই হাসপাতালের দিকে রওনা দেন তাঁর স্বামী। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় মামনির।