নজরবন্দি ব্যুরোঃ আজই আদালতে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মাণিক ভট্টাচার্য। ভুল প্রশ্ন মামলার নিষ্পত্তি হয় এদিন। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদগুলিতে অবিলম্বে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যকে এই নির্দেশ দেন। আর বিকেলেই এল চাকরিপ্রার্থীদের জন্যে বিতর্কিত সুখবর।
আরও পড়ুনঃ প্রিয়াঙ্কাই প্রায়োরিটি! ওয়ার রুম তৈরিতে হেস্টিংস থেকে সরল রাজীবের নেমপ্লেট
এদিনই রাজ্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিকের মোট ৩ হাজার ৯২৫টি শূন্য পদে খুব শিগগির নিয়োগ করা হবে। আর এই শূন্য পদ রয়েছে শুধুমাত্র ২ টি জেলাতেই। জেলা দুটি হল মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগনা। ২০০৯ সালে যে প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল তা নিয়ে এদিন বৈঠক হয় মন্ত্রীসভায়। তারপরেই নেওয়া হয় নিয়োগের সিদ্ধান্ত। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী আজ এই কথা জানান সাংবাদিকদের।
যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারন চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ২০০৯ সালে যারা পাশ করেছিল তাঁদের বেশিরভাগই দক্ষিন ২৪ পরগণার। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগণা এবং মালদায় যদি নিয়োগ করা হয়ে তাহলে এক যাত্রায় পৃথক ফলের সম্ভাবনা চাকরিপ্রার্থীদের। চাকরিপ্রার্থীদের আশা রাজ্য আজ ৩ হাজার ৯২৫টি শূন্য পদে নিয়োগের কথা জানালেও হয় পরে তা বাড়ানো হবে অথবা যুক্ত হবে জেলা। কারন রাজ্য জানায়নি কোন জেলায় কটি শূন্য পদে নিয়োগ হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্যে বিতর্কিত সুখবর!
আর এখানেই আশঙ্কা নতুন করে মামলা হওয়ার। কারন এক যাত্রায় পৃথক ফল হলে মামলা অনিবার্য। কদিন আগেই নিয়োগ আটকে যাওয়ার অন্য তম কারন হিসেবে মামলা কে উল্লেখ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “যখনই নিয়োগ হচ্ছে, তখনই কোর্টে মামলা করে দিচ্ছে। ৩-৪ বছর ধরে এটা চলছে। যারা করছে, তারা অন্যায় করছে, যারা মামলা করছে, তারা কারা? সমাজের বন্ধু? এত ছাত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা উচিত নয়।”
উল্লেখ্য, আজ প্রাথমিকে ভুল প্রশ্ন মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পর্ষদ সভাপতি মাণিক ভট্টাচার্যকে বলেন, “যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির ব্যবস্থা করুন। এখন সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে যে শূন্য পদগুলি তৈরি হবে, সেখানে নিয়োগের ব্যবস্থা করুন। এই চাকরিপ্রার্থীরা কত দিন আর লড়াই করবেন।”