নজরবন্দি ব্যুরো: এগরা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল এগরা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা বারুদ সংগ্রহ করে নিয়ে আসতেন ওই কারখানায়। ধৃতদের নাম দেবসুন্দর জানা ও তপন দেবনাথ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, বারুদ মজুত করার দায়িত্বে ছিল ধৃতদের! বুধবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর ধৃতদের তোলা হবে কাঁথি মহকুমা আদালতে। আরও তথ্য পেতে অভিযুক্তদের হেফাজতে চাইতে পারে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ তিনি এখনও পলাতক। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে সিআইডি।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার এই এগরা থানার আইসিকে শোকজ করার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত ভানু কিভাবে জামিন পেল তা জানতেও চেয়েছেন তিনি। একদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনার পর গোটা একটি রাত পেরিয়ে গিয়েছে। এখন এগরার খাদিকুলে শুধুই স্বজনহারানোর আর্তনাদ। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে আমজনতা। জানা যাচ্ছে, বুধবার, আজ সকালেই আর্থিক সাহায্য প্রদানে গ্রামে যাবেন মানস ভুইঞা, দোলা সেনরা।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। জানা যায়, খাদিকুল গ্রামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৭ জনের দেহ। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছুটা দূরে গ্রামের রাস্তায় ছড়িয়েছিটিয়ে পরেছিল ছিন্নভিন্ন দেহ গুলি। পাশাপাশি আহত হন আরও অনেকেই। এরপরেই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এগরা থানার পুলিশকর্মীরা পৌঁছলে, গ্রামের মানুষরা তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয়।
জানা গিয়েছে, আজ ঘটনাস্থলে যাবেন সিআইডি আধিকারিক ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়াও খাদিকুলে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাওয়ার কথাও রয়েছে রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও। তবে এই ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছেন, তিনি বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রয়োজন পরলে এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন তিনি। পাশাপাশি পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগের আরজিও জানাবেন তিনি।