নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত ২২ জুলাই থেকে ইডির হেফাজতে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়। তাঁদের নিয়ম করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডির আধিকারিকরা। প্রতিদিন হাতে আসছে নতুন নতুন তথ্য। সেই তথ্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যের একাধিক স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজও একটি বিস্ফোরক নথি হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। যে নথি প্রমাণ করছে পার্থ এবং অর্পিতার ঘনিষ্ঠতা চলছে ২০১২ সাল থেকে।
আরও পড়ুনঃ একাধিকবার বদলির সুপারিশ কেন? কড়া সিদ্ধান্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
৯ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১২ সাল থেকেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আর্থিক লেনদেনও ছিল। আজ ২ জনের একটি পার্টনারশিপ সংস্থার তথ্য সামনে এনে এই দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০১২ সালের ১ নভেম্বর খোলা হয়েছিল মেসার্স অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস। যে সংস্থার সম অংশীদার ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
দু’জনেরই ৫০ শতাংশ করে শেয়ার ছিল। ইডি সূত্রে খবর, ওই সংস্থার ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়টি অর্পিতা জানান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসারদের। তারপর ইডি-র আধিকারিকরা সেই ২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। পার্থ-অর্পিতার ওই সংস্থা গত ৯ বছরে কী কী কাজ করেছে, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ সিজিও কমপ্লেক্সে মুখোমুখি বসানো হচ্ছে পার্থ-অর্পিতাকে।

ইডি সূত্রে খবর, আগামীকাল অবধি তাঁদের হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার আগে এই বিরাট বড় দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতে পেতে চায় ইডির আধিকারিকরা।
২০১২ সাল থেকে পার্থর পার্টনার অর্পিতা, আজও উদ্ধার হতে পারে বিপুল টাকা!
এদিকে, পণ্ডিতিয়া রোডের আবাসনে ফের হানা দিয়েছে ইডি। ফ্ল্যাটের দুটি দরজায় তালা দেওয়া ছিল। চাবিওয়ালা আনিয়ে ফ্ল্যাটের একটি দরজার তালা খোলা সম্ভব হলেও অন্য দরজাটি ভাঙতে হয়। উদ্ধার হয়েছে বশি কিছু নথি। অর্পিতা-পার্থর নামেই ছিল ফ্ল্যাট, অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। এক আবাসন কর্মীর দাবি, দিনের আলোয় বন্ধ থাকত অর্পিতার ফ্ল্যাটের দরজা, কিন্তু রাতে খোলা হত মাঝেমধ্যেই!