১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামমুখী তৃণমূল সুপ্রিমো, তেখালিতে করবেন সভা

নজরবন্দি ব্যুরো: রাজনৈতিক আবহকে তপ্ত করতে এবার নন্দীগ্রামমুখী তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে চলতি মাসের ৭ তারিখ নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজ লাগোয়া মাঠে সভা করার কথা ছিল তৃণমূল নেত্রীর। কিন্তু কর্মসূচি ঘোষণা করার পরেও তা বাতিল করে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: জোট শক্তিতেই জয়-জয়াকার! আশার বৈঠকে বাম-কংগ্রেস।
তখন বলা হয়েছিল, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দিদির কর্মসূচি স্থগিত করা হল। সেদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন অখিলবাবু সুস্থ হলেই নন্দীগ্রামে যাবেন মমতা। সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে, সেই পরিবর্তিত দিন হতে চলেছে ১৮ জানুয়ারি। ওই দিন নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ ব্যাপারে এখনও দলীয় তরফে কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, অখিল গিরি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে আগামী ১২-১৪ দিনে তিনি আরও খানিকনটা চাঙ্গা হয়ে যাবেন। তারপরেই নন্দীগ্রাম যাবেন দিদি।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি সকালে নন্দীগ্রামে কর্মসূচির কথা সেই ১০ নভেম্বর ঘোষণা করে রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে কতটা আগ্রাসী হয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন জেলায় জেলায় ঘুরে তা বঙ্গবাসীর দেখা হয়ে গিয়েছে।
এদিকে মমতার ৭ জানুয়ারির সফর ঘোষণা হতেই কাঁথির সভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি ৮ তারিখে সভা করবেন। কাঁথির জনসভা থেকে তরুণ বিজেপি নেতার বক্তব্য ছিল, ‘শুনলাম ৭ তারখে মাননীয়া আসবেন। তা ভাল! উনি এলে ভাঙা রাস্তাগুলো মেরামত হবে। আমার জেলারই লাভ।’
১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামমুখী তৃণমূল সুপ্রিমো, তাঁর পরেই শুভেন্দু হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি ৮ তারিখে নন্দীগ্রামে সভা করব। মাননীয়া যা যা বলে যাবেন, ধরে ধরে তাঁর জবাব দেব।’ আরও বলেছিলেন, ‘তুমি লোক জড়ো করবে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে। আমি লোক জোগাড় করব ভালবাসা দিয়ে।’