নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভোটের আগে দুয়ারে পৌচ্ছবে ‘দিদির দূত’, নতুন বছরের শুরুতেই নয়া কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রকল্প নিয়ে মাঠে নামছে তৃণমূল। দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে সোমবার সকালে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক শুরু হয়েছে। আর সেই বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ প্রকল্পের অন্তর্গত তৃণমূলের সাড়ে তিন লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক রাজ্যের মানুষের দুয়ারে ‘দিদির দূত’ হয়ে পৌচ্ছে যাবেন।
আরও পড়ুনঃ এক চাকরি একাধিক দাবিদার! মন্ত্রীকন্যার জায়গায় মিসফিট ববিতাও, হাইকোর্টে মামলা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যে ‘দিদির দূত’রা আছেন তাঁরা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার। জানাবেন সরকারি প্রকল্পের খুঁটিনাটি। এ ভাবেই পঞ্চায়েতের আগে পুরোদমে জনসংযোগে নেমে পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসকদল। এছাড়া আরও অনেক ধাপেই কাজ হবে এই প্রকল্পে। সোমবার নজরুল মঞ্চ থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করলেন দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন এই কর্মসূচি, কী কী সুবিধা মিলবে, এই সবই তিনি নিজে ব্যাখ্য়া করলেন আজ নজরুল মঞ্চে। জানালেন, ‘দুয়ারে সরকারে’র যে রূপরেখা, তার উপর ভিত্তি করেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ চালু হল দলীয় স্তরে। এর লক্ষ্য অনেক বড়। ঘরে ঘরে শাসকদলকে পৌঁছে দেওয়া, যা নিবিড় জনসংযোগের হাতিয়ার। আর এই নামটি দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের আইটি (IT)সেলে থেকে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে জনমানসের কাছাকাছি পৌঁছতেও ‘দিদিকে বলো’ নামে কর্মসূচি বহুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর সেটাই আজা ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ সূচনাকে একধাপ এগিয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুয়ারে সরকারের আইডিয়ার আরেকটা রূপ এই কর্মসূচি। সরকার যে কাজ করছে, করুক। পাশাপাশি পার্টির কাছেও কিছু অভিযোগ আসে। তা এলে কাজ করতে হবে দলীয় স্তরে। অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকে। কিন্তু মানবিক কারণে তা এড়িয়ে সমাধানের কাজটা আগে করতে হবে।’
এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় মাত্রায় জনসংযোগে নেমে পড়ছে তৃণমূল। এই প্রকল্পে তৃণমূলের সাড়ে ৩ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক ‘দিদির দূত’ হয়ে রাজ্যের ১০ কোটি মানুষের বাড়িতে পৌঁছবেন। মানুষকে জানাবেন মমতা সরকারের ১৫টি ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রকল্পের খুঁটিনাটি। কোনও প্রকল্প পেতে অসুবিধা হচ্ছে কি না, তা-ও জানতে চাইবেন ‘দিদির দূতে’রা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোনও পরামর্শ থাকলেও তা নথিভুক্ত করে নেবেন দিদির দূতেরা। তার পর অ্যাপের মাধ্যমে তা চলে আসবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।
ভোটের আগে দুয়ারে পৌচ্ছবে ‘দিদির দূত’, দুর্নীতি রুখতে ‘সুরক্ষা কবচ’ দিলেন মমতা
তৃণমূল সূত্রে খবর, ‘জয় বাংলা’, ‘ঐক্যশ্রী’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘যুবশ্রী’, ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’, ‘খাদ্যসাথী’, ‘কন্যাশ্রী’-র মতো ১৫টি ‘ফ্ল্যাগশিপ’ প্রকল্প নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছবেন। তার আগে ৩০০ জন রাজ্যস্তরের তৃণমূল নেতা ১০ দিন করে গ্রামে রাত্রিযাপন করবেন। চলবে জনসংযোগের পর্ব। রাত্রিবাস শেষে সেই বাড়িতেই পৌঁছবে দিদির দূতেরা। কথা বলবেন রাজ্য সরকারি প্রকল্প পাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে।