‘ভিক্ষা দিন’, নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে মমতা কে আবেদন মদনের!

নজরবন্দি ব্যুরো: ‘ভিক্ষা দিন’ নন্দীগ্রাম আসন, এভাবেই মমতা বন্দোপাধ্যায় কে আবেদন জানালেন মদন মিত্র। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে বঙ্গরাজনীতির পারদ ততই ঊর্ধ্বগামী। রবিবারবাসরীয় বিকালে বড়জোড়া স্কুল ময়দান মদন মিত্রের এক ঝাঁঝালো বক্তব্যের সাক্ষী হয়ে রইল।এদিন জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র ঝাঁঝালো ভাষায় শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপিকে তোপ দাগলেন। তিনি বলেন, আমি মমতা ব্যানার্জির কাছে অনুরোধ করবো আপনি ২৯৩ আসন নিয়ে বলুন তা আপনার কাছে এনে দেব।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলি, দুষ্কৃতীদের বদলে অভিযোগকারীদের গ্রেফতারে অভিযুক্ত পুলিশ!
শুধুমাত্র আমাকে মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনটা ভিক্ষা দিন। আমি ওখানে প্রার্থী হয়ে দেখিয়ে দেব তৃণমূলের জয় কাকে বলে। তবে বিনিময়ে শুভেন্দুকে কামারহাটিতে দাঁড়াতে হবে। যদি ওকে কাতলা পাড়া করে দিতে না পারি তাহলে আমি মদন মিত্র নয়। এদিন শুভেন্দুকে বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, মীরজাফর নানা ব্যঙ্গাত্মক বিশেষণে ভূষিত করে তিনি বলেন, উনি বলেছেন আমার কিছু চাইনা। আমার পদ চাই না। এদিকে তলে তলে ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের পা ধরে বসে ছিলেন। এখন দিলীপ ঘোষের পায়ের জুতো ধরে জুট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ নিলেন। তৃনমূলে কি দেওয়া হয়নি তোমাকে!
মমতা ব্যানার্জি শুধু নোবেলটা দিতে পারেনি! অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারটা দিলে তুমি খুশি হতে। শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার কি নেই- ধন, দৌলত সবই তো তো আছে। কিন্তু তোমার বাংলা মা নেই। তৃণমূলের বাংলা মা আছে। এদিন তিনি বলেন বড়জোড়া থেকে কলকাতা সরকারি বাস পরিষেবার চালুর ব্যাপারে ভূতল নিগমের সাথে কথা বলবেন। তিনি বলেন, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় আমরা ৫ টি আসন হারিয়েছিলাম। আমি দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা, নেতৃত্ব অরূপ চক্রবর্তী, আশুতোষ মুখার্জী, সুখেন বিদ, অলক মুখার্জীদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা শুধু পারমিশনটা এনে দিন।
আমি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মেদিনীপুরে পড়ে থেকে থেকে জঙ্গলমহলের সব কটা আসন এনে দেব। বাঁকুড়াতে তো ১২ – ০তে বিজেপিকে দেখিয়ে দেবো টিএমসি মানে টেম্পেল, মসজিদ, ও চার্চের মেলবন্ধন। এদিন তিনি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে বলেন, বড়জোড়া আসনে ২০১১ নির্বাচনের ১১ হাজার মার্জিনকে যদি ২২ হাজার মার্জিনে জিতিয়ে নিয়ে যেতে না পারি তাহলে বড়জোড়ার মাটিতে আর কোনদিন পা দেব না। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাদের বহিরাগত ইস্যু তুলে বলেন, দুদিন পর ওরা বলবে বাংলাকে বাঙালির হাত থেকে বার করে নাও।
তারপর বলবে বাঙালিরা এখানে থাকতে পারবে না। কিন্তু আমরা বাঙালি পার্টি করিনা। তবু বলছি কত ক্ষমতা আছে দেখি তোমাদের যে বাঙালির বুকে দাঁত ফোটাতে আসছেন। মদনবাবুর কথায়, আমরা বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে মানি। দিলীপ ঘোষের কঠোর সমালোচনা করে বলেন উনি যে রামের কথা বলেন, সেটা রাম নয় হাম। কারণ রাম কখনো তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করেননি। আর সেই রামের নাম নিয়ে দীলিপবাবু তলোয়ার ঘোরাচ্ছেন ।
তাকে বাঁকুড়ার মাটিতে আহ্বান করে বলেন, আসুন একদিন সামনা সামনি হয়ে যাক। এছাড়া বিভিন্ন হিন্দি শায়েরী ছড়া কেটে মদন মিত্র বলেন, যদি বাঁকুড়ার লক্ষ বেকারের চাকরি চান। যদি বাঁকুড়াকে শিল্পসমৃদ্ধ করতে চান। যদি কলকাতার সঙ্গে মেলাতে চান তবে মমতাকে জেতান। আমাদের ভুল হলে প্রত্যাখ্যান করুন। কিন্তু তৃণমূল দলটাকে ভালবাসুন, মমতা ব্যানার্জিকে জয়ী করুন।