নজরবন্দি ব্যুরোঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবার শিক্ষক বদলি মামলাতেও শুক্রবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, কোনও জঙ্গলের আইন চলতে পারে না। যে যার খুশি মতো কাজ করবেন এটা হতে পারে না। প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই কাজ করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ বিচারপতির।
আরও পড়ুনঃ আমার আবেগের সাথে ছিনিমিনি খেলেছে মুকেশ! আদালতে বিস্ফোরক জ্যাকলিন
আদালতের পর্যবেক্ষণ, পড়ুয়াদের স্বার্থে যে কোনও শিক্ষককে যেখানে খুশি বদলি করে পারে শিক্ষা দফতর। স্কুলে পড়ুয়া না থাকলেও শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন আর আসছেন, এটা হতে পারে না। কলকাতার শূন্য ছাত্রের স্কুলের শিক্ষককে হাওড়ার ছাত্র পূর্ণ স্কুলে যেতেই হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক বদলি নিয়ে শিক্কাহ দফতর নির্দেশ দিলে তা সাত দিনের মধ্যে পালন করতে হবে। না মানা হলে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, বদলি চেয়ে এক শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে ওই স্কুলে অঙ্কের কোনও শিক্ষক নেই। তখনই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, স্কুলে কোনও অঙ্কের শিক্ষক নেই। এটা ভাবতে পারছেন? ছাত্রদের কী শেখানো হচ্ছে? এবার হাল ফেরানো প্রয়োজন রয়েছে। বদলি নিয়ে সরকারের যে আইন রয়েছে, আমরা বার বার তা প্রয়োগ করতে বলেছি। কিন্তু অনেকে নানা অজুহাতে আদালতে এসে বদলি নিয়ে চলে যান।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শুধুমাত্র একজন, দু’জন নয়, নিয়োগ দুর্নীতির জালে জড়িয়ে ২৩ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যার ফলে বাড়বে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জঙ্গলের আইন চলতে পারে না, বিস্ফোরক মন্তব্য বিশ্বজিৎ বসুর

এদিন বিচারপতি বলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যুক্ত না থাকলে এই ধরনের দুর্নীতি হতে পারে না। একজন ভুয়ো শিক্ষক ২-৩ বছর চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন। জেলা স্কুল পরিদর্শকরা না জানলে কীভাবে এটা সম্ভব? বুধবারই সিআইডি ডিআইজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি। এদিন তাঁর উপস্থিতিতে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন বিচারপতি। সিআইডি ডিআইজির নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত হবে।