নজরবন্দি ব্যুরোঃ ভাঙড়ে তৃণমূল বনাম আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে হেফাজতে নিতে চাইল লেদার কমপ্লেক্স থানা। শুক্রবার তাঁকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর কথায়, রাজনৈতিক চক্রান্ত করে আটকে রাখা হচ্ছে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ Kuntal on Tapas: তাপস মণ্ডলের সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে, কুন্তলের বক্তব্যে নতুন করে জল্পনা
শুক্রবার আদালতে পেশের সময় নওশাদ বলেন, সকালে আমাকে বলা হল বারুইপুর কোর্টে আসতে হবে। রেডি হয়ে আসলাম। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্ক ধ্বংস হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। যেটাকে এতদিন ভুল বুঝিয়ে রেখেছিল সেই ভুল বেরিয়ে আসছে। পঞ্চায়েত ভোটে হারের ভয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। এই লড়াই চলবে।
গত মাসে ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন দেওয়া এবং তৃণমূল কর্মীদের ওপর মারধরের অভিযোগ রয়েছে নওশাদ এবং আশমা খাতুনের বিরুদ্ধে। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে লেদার কমপ্লেক্স থানা।
এছাড়াও ২১ জানুয়ারি ধর্মতলার সভা কী কারণে ডাকা হয়েছিল? এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল কি না? সবটা খরিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ। এমনকি ধর্মতলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত কী না সেটাও খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য নওশাদের দুটি মোবাইল ফোন ফরেন্সিক টেস্টের জন্য পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
রাজনৈতিক চক্রান্ত করে আটকে রাখা হচ্ছে, বিস্ফোরক নওশাদ
এর আগে ধর্মতলার সভায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগণার আইএসএফ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন নওশাদের ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে জানা গেছে। গতকালের ঘটনার পর ফের কলকাতা অচলের ডাক দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা কাশেম সিদ্দিকি।