নজরবন্দি বুরোঃ অপেক্ষা সুপ্রিমোর গ্রিণ সিগন্যালের, শ্রীঘ্রই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেরলে কংগ্রেস ভেঙে আসা নেতা নেত্রীরা। বৈঠকে সবুজ সংকেত এলেই বাংলার পর এবার কেরলেও ভিত শক্ত হবে তৃণমূল কংগ্রেসের। জুনের শেষ নাগাদই দিল্লিতে ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ আজ থেকে ফের কোভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু কলকাতায়
এদিকে বাংলায় বিপুল তথাতে প্রতিপক্ষ সব দলকে থামিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ এর নির্বাচনে বাংলা অধিকারের লক্ষ্যে অটল ছিল গেরুয়া শিবির, কেন্দ্র থেকে দলে দলে নেতামন্ত্রীরা নিয়ম করে সভা মিছিল করেছে বাংলায়। অন্যদিকে বাংলায় তৃণ্মুল-বিজেপি উভয়কেই আটকে দিতে জোত তৈরি করেছিল সিপিএম-কংগ্রেস-এবং আব্বাস সিদ্দিকির সেকুলার ফ্রন্ট। ফলাফলে দেখা গেছে বিজেপির প্রাপ্ত আসন ১০০ এর কম, অন্য দিকে তিন দলের সম্মিলিত জোট পেয়ছে ১ টি আসন। স্বাভাবিক আভবেই ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে পুনরায় জিতে ফিরেছে মমতার মা-মাটি-মানুষের সরকার। সেই সপ্রকার এবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চাইছে কেরলে। অপেক্ষা করছে সুপ্রিমোর সবুজ সংকেতের।
২০১১ তেই কেরলে তৃণমূলের পত্তন হয়েছিল। বাংলার মতোই সিপিএম এর বিজয় রথ আটকে দিতে সংঘবদ্ধ হচ্ছিল ঘাসফুল শিবির। তবে বেশি দিন টেকেনি সেই দল। মালয়ালি নেতৃত্ব এই বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে দায়ী করে বাংলার কিছু তৃণমূল নেতাকেই, যাঁরা নিজেরাও আর এই মুহুর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত নয়। দূরের রাজ্যের তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরেও এ এরাজ্যের নেতাদের উদাসীন মনোভাবের কারণেই ২০১৫ এর পর একে একে তাঁরা যোগ দেন কেরলের সিপিএম বিরোধী ফরওয়ার্ড ব্লকের সাথে।
কেরলে অচিরেই সিপিএম বিরোধী ফরওয়ার্ড ব্লক হাত মিলিয়েছিল কংগ্রেসের সঙ্গে। বলা ভালো ইউডিএফের সঙ্গে। তবে ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের দ্বন্দ্ব বাঁধে ফরয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেসের মধ্যে। নির্বাচনে আসন রফা নিয়ে তৈরি হয়া দ্বন্দ্ব একাধিক বিষয় নিয়ে জটিলে পরিনত হয়। এসবের মাঝেই কেরলে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে কেরলে ফের সরকার গড়েছে পিনরাই বিজয়ন। হারের কারণ হিসেবে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে সিপিএম-কংগ্রেস।
অপেক্ষা সুপ্রিমোর গ্রিণ সিগন্যালের, ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে নিজেদের ভেতরের কলহের কারণেই কংগ্রেসের এই পরিনতি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের যেসব নেতা নেত্রীরা প্রথমে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং পরে কংগ্রেসের হয়ে ভোট লড়েছেন তাঁরা এবার চাইছেন কেরলে ফের মাথা তুলে দাঁড়াক তৃণমূল কংগ্রেস। আপাতত অপেক্ষা করছেন বাংলার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের।